সাজঘর থেকে সিলভারউডের সঙ্কেত। ছবি: টুইটার থেকে
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিসের ৩৭ বলে ৬০ রানের দাপটে দু’উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। ১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতার পিছনে বড় ভূমিকা নেন অধিনায়ক দাসুন শনকাও। তিনি ৩৩ বলে ৪৫ রান করেন। মাঠের লড়াই ছাড়াও শ্রীলঙ্কার জয়ের পিছনে ছিল কোচ ক্রিস সিলভারউডের মস্তিষ্ক। সাজঘর থেকে মাঠে সঙ্কেত পাঠাচ্ছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার কোচের সেই সঙ্কেত পাঠানো ভাল ভাবে নেননি বাংলাদেশের সমর্থকরা।
২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী দলে ছিলেন সিলভারউড। সেই সময় পেসারদের কোচ হিসাবে কাজ করতেন। পরের বছর তাঁকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন অইন মর্গ্যানকেও (সেই সময় ইংল্যান্ডের অধিনায়ক) সাজঘর থেকে সংকেত পাঠাতেন সিলভারউড। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁকে তেমন ভাবে সঙ্কেত পাঠাতে দেখা গেল দাসুন শনাকার জন্য। ম্যাচ শেষে সিলভারউড বলেন, “এটার মধ্যে কোনও আশ্চর্যের ব্যাপার নেই। অধিনায়কের জন্য কিছু পরামর্শ ছিল। সেটা অধিনায়ক মানবে কি মানবে না, সেটা তার সিদ্ধান্ত। অনেক দলই এমন করে। খুব সহজ ব্যাপার। অধিনায়ক কী ভাবে নেতৃত্ব দেবে সেটা আমি বলে দিইনি। আমি কিছু পরামর্শ দিয়েছি।” নেটমাধ্যমে বাংলাদেশের সমর্থকরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন।
বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার ফোরে আফগানিস্তান এবং ভারতের সঙ্গে যোগ দিল শ্রীলঙ্কা। শুক্রবার পাকিস্তান এবং হংকংয়ের ম্যাচে যে জিতবে, সেই দলই চতুর্থ জায়গাটি দখল করে নেবে।
প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ তোলে ১৮৩ রান। শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে সেই রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। ২০তম ওভারে বল করতে এসে নো বল করেন মেহেদি হাসান। তাতেই ম্যাচ জিতে যান শনাকারা। এই ম্যাচের আগে থেকে বাক্যুদ্ধ চলছিল দুই দলের। শনাকা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ দলে মাত্র দু’জন বোলার শাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমান। উত্তরে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ বলেছিলেন, “শ্রীলঙ্কা দলে কোনও বোলারই নেই।” ম্যাচ শেষে যদিও বোলারদের জন্যই হারতে হল বাংলাদেশকে।