২০২১ সালের আইপিএল জিতেছিলেন ধোনি। —ফাইল চিত্র
টস হেরেও চিন্তা ছিল না শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের। দাসুন শনাকা দুবাইয়ের মাঠে ২০২১ সালের আইপিএল ফাইনালের কথা মনে রেখেছিলেন। যে ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করেও জিতেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সেই জয় থেকেই পাকিস্তানকে হারানোর সাহস সঞ্চয় করেছিল শ্রীলঙ্কা।
রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারায় শ্রীলঙ্কা। টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথমে ব্যাট করে দুবাইয়ের মাঠে জেতা কঠিন। বেশির ভাগ ম্যাচে সেটাই দেখা যাচ্ছিল। ম্যাচ জিতে শনাকা বলেন, “দর্শকদের ধন্যবাদ আমাদের পাশে থাকার জন্য। আশা করি আমরা তাদের গর্বিত করতে পেরেছি। ২০২১ সালের আইপিএলে চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে জিতেছিল। আমার মাথায় সেটাই ছিল। আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররা এই পরিস্থিতি সম্পর্কে জানে। পাঁচ উইকেট হারানোর পর ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ যে ভাবে ব্যাট করেছে তার প্রশংসা করতেই হবে। ১৭০ রান মানসিক চাপ তৈরি করে দেয়। ১৬০ রান থাকলে মনে হয় তাড়া করে দেওয়া সম্ভব। সেটাই হল পাকিস্তানের সঙ্গে।”
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভানুকা রাজাপক্ষ ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচের সেরাও হন তিনি। রাজাপক্ষ বলেন, “খুব সহজ ছিল না এখানে খেলা। পাকিস্তান খুব ভাল করছিল। হাসরঙ্গ আসার পর আমরা একটা পরিকল্পনা করি। ও বোলারদের আক্রমণ করতে শুরু করে। আমিও মারতে শুরু করি। পাকিস্তানের বোলাররা চাপে রেখেছিল তাই আমাকেও খেলার ধরন পাল্টাতে হয়। আমরা চাইছিলাম ১৭০ রান তুলতে। ১০ ওভার শেষে কোচ ক্রিস সিলভারউডের সঙ্গে কথা হয়। আমি বলি ১৪০ রান হলেও চলবে। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত থেকে অনেকটা রান বাড়িয়েনি।”
শ্রীলঙ্কার কোচ সিলভারউড বলেন, “দলের প্রয়োজনে সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। দলে প্রতিভা রয়েছে। প্রয়োজন ছিল শুধু আত্মবিশ্বাসের। তরুণ পেস আক্রমণ নিয়ে আমরা এসেছিলাম। তারা ভাল খেলেছে। কোনও এক জনকে বেছে নেওয়া ঠিক হবে। গোটা দল ভাল খেলেছে।”