এশিয়া কাপ থেকে খালি হাতে ফিরতে হল রোহিত শর্মাদের। ফাইল ছবি।
সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচ খেলার আগেই এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে রোহিত শর্মার দল। পাকিস্তান বুধবারের ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই আশা শেষ হয়ে গিয়েছে ভারতের। এ বার ভারত চ্যাম্পিয়ন হলে দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হ্যাটট্রিক করতে পারত। সেই সুযোগ হারাল ভারতীয় দল।
ভারত শুধু গত দু’বারের জয়ী নয়, প্রতিযোগিতার সফলতম দলও। সাত বার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। দ্বিতীয় সফলতম দল শ্রীলঙ্কা ট্রফি জিতেছে পাঁচ বার। পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দু’বার। এই তিন দেশ ছাড়া কোনও দেশ এখনও পর্যন্ত এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এ বারও ক্রিকেটের নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছেন না এশিয়া। কারণ, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের ফাইনাল খেলা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় ভারতের সাফল্য স্পর্শ করতে আরও অপেক্ষা করতে হবে দু’দলকেই।
১৯৮৪ সালে প্রথম এশিয়া কাপের আসর বসেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। সে বারই ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল ভারত। তার পর ১৯৮৮, ১৯৯০-৯১ এবং ১৯৯৫ সালে পর পর তিন বার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এই তিন বার এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল যথাক্রমে বাংলাদেশ, ভারত এবং আমিরশাহি।
এর পর ১৯৯৭ সালে ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যায় ভারত। ২০০০ সালে ফাইনালে উঠতে পারেনি ভারতীয় দল। ২০০৪ এবং ২০০৮ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হয় ভারতকে। ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতেই তাদের ফাইনালে হারিয়ে পঞ্চম বার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
২০১২ এবং ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে আবার ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি ভারতীয় দল। ২০১৬ এবং ২০১৮ সালের ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতীয় দল। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম বার এশিয়া কাপ হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ২০১৮ সালে ফরম্যাট বদলে আমিরশাহিতে এক দিনের প্রতিযোগিতা হয়েছে। এ বার আবার ২০ ওভারের ম্যাচ হচ্ছে এশিয়া কাপে।
এ বারের প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক শ্রীলঙ্কা হলেও সেখানকার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রতিযোগিতা হচ্ছে আমিরশাহিতে। আগামী এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ২০২৩ সালে পাকিস্তানের মাটিতে। ৫০ ওভারের ক্রিকেট হওয়ার কথা আগামী বছর।