হার দিয়ে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু শাকিবদের। ছবি: টুইটার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরম্যান্স অব্যাহত এশিয়া কাপেও। শাকিব আল হাসানের দলকে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসাবে এশিয়া কাপের শেষ চারে জায়গা করে নিল আফগানিস্তান। ১৮.৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল আফগানরা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করেও সুবিধা করতে পারল না বাংলাদেশ। আফগানিস্তান করল তিন উইকেটে ১৩১ রান।
ইব্রাহিম জারদান এবং নাজিবুল্লাহ জারদান আফগানিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন ব্যাট হাতে। তাঁরা অপরাজিত থাকলেন যথাক্রমে ৪২ এবং ৪৩ রান করেন। ওপেনার হজরাতুল্লাহ জাজাইও ভাল ব্যাট করলেন। তিনি ২৬ বলে ২৩ রান করেন। ৬২ রানে তিন উইকেট হারিয়েও চাপ সামলে নেন আফগানরা। চতুর্থ উইকেটের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ইব্রাহিম এবং নাজিবুল্লাহ দলকে জয় এনে দিলেন। নাজিবুল্লাহ ছাড়া আফগানিস্তানের বাকি ব্যাটাররা তেমন আগ্রাসী ব্যাটিং না করলেও সমস্যা হয়নি জয়ের লক্ষ্য খুব বেশি না হওয়ায়। দলের বোলিং আক্রমণ শুরু করেন বাংলাদেশ অধিনায়কই। চার ওভার বল করে ১৩ রান দিয়ে এক উইকেট নেন শাকিব। মোসাদ্দেক হোসেন ১২ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশের বোলাররা আফগান ব্য়াটারদের বেশি ক্ষণ চাপে রাখতে পারলেন না। ফলে নয় বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নিলেন নবিরা।
এর আগে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়ে শাবিকের দল। আফগান স্পিনারদের সামলাতেই পারলেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শাকিব। কিন্তু দুই স্পিনার মুজিব উর রহমান এবং রশিদ খানের বোলিংয়ের সামনে তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ইনিংস। বাংলাদেশের কোনও ব্যাটারকেই স্বস্তিতে দেখাল না শারজার ২২ গজে। দ্বিতীয় ওভার থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা একে একে সাজঘরে ফিরতে শুরু করলেন। দুই ওপেনার মহম্মদ নইম (৬) এবং আনামুল হক (৫) শুরুতেই আউট হলেন। তিন নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারলেন শাকিবও (১১)। তাঁদের তিন জনকেই আউট করলেন মুজিব। চার এবং পাঁচ নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম (১) এবং আফিফ হোসেনকে (১২) সাজঘরে ফেরালেন রশিদ। ৫৩ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ কার্যত লড়াই থেকেই ছিটকে যায়।
বড় লজ্জার হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচালেন মাহমুদুল্লাহ এবং মোসাদ্দেক। তাঁদের ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে উঠল গুরুত্বপূর্ণ ৩৬ রান। রশিদের বলে মাহমুদুল্লাহ আউট হওয়ার আগে করলেন ২৭ বলে ২৫ রান। আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন মোসাদ্দেক। তাঁর ৩০ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ করে সাত উইকেটে ১২৭ রান।
আফগানিস্তানের অফ এবং লেগ স্পিনার জুটির বল বুঝতেই পারলেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মুজিব ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। রশিদের ৩ উইকেট এল ২২ রানের বিনিময়। আফগান অধিনায়ক মহম্মদ নবি বেশ ভাল নেতৃত্ব দিলেন।