এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক সঙ্গে অভিষেক হল উমরান এবং আরশদীপের। ছবি: টুইটার।
২১টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর এক দিনের ক্রিকেটে ভারতের হয়ে অভিষেক হল আরশদীপ সিংহের। শুক্রবার নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচ বল হাতে তেমন নজর কাড়তে পারেননি। যদিও অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানকে নকল করে চর্চায় বাঁহাতি জোরে বোলার।
এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাফল্য পেয়েছেন আরশদীপ। তিনি দলে আসায় ভারতের জোরে বোলিংয়ের বৈচিত্র্য বেড়েছে। অকল্যান্ডের ম্যাচ শুরুর আগে আরশদীপ এবং উমরানের হাতে ভারতের এক দিনের দলের টুপি তুলে দেন অধিনায়ক ধাওয়ান। অধিনায়কের সঙ্গে করমর্দন করার পর নিজের থাইয়ে চাপড় মেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় আরশদীপকে। তাঁকে এ ভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখে হেসে ফেলেন সতীর্থরা। ধাওয়ানও রসিকতার ছলেই নেন বিষয়টি। আরশদীপের এই উচ্ছ্বাস প্রকাশ ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
ধাওয়ানের ভঙ্গিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে এই ম্যাচেই এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া উমরান মালিককেও। তিনি উইকেট পাওয়ার পর থাইয়ে চাপড় মেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। দুই তরুণ জোরে বোলারের এমন কাণ্ড দেখে রাগ করেননি অধিনায়ক। তিনিও তাঁদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের পরিচিত ভঙ্গিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
Moment to cherish! 😊
— BCCI (@BCCI) November 25, 2022
Congratulations to @arshdeepsinghh and @umran_malik_01 as they are set to make their ODI debuts 👏 👏#TeamIndia | #NZvIND pic.twitter.com/VqgTxaDbKm
প্রথম এক দিনের ম্যাচ খেলতে নেমে আরশদীপ কোনও উইকেট না পেলেও ২ উইকেট নিয়েছেন উমরান। আরশদীপ ৮.১ ওভার বল করে ৬৮ রান দিয়েছেন। উমরান ১০ ওভার বল করে দিয়েছেন ৬৬ রান। সাজঘরে ফিরিয়েছেন ডেভন কনওয়ে এবং ডারিল মিচেলকে। বলের গতিতেও নজর কেড়েছেন তিনি। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে তাঁর বলে সর্বোচ্চ গতি ছিল ১৫৩.১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ধারাবাহিক ভাবে ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের জোরে বোলার।
কেন উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জিতলেও তিন ম্যাচের এক দিনের ক্রিকেট সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছে ভারতকে। প্রথম ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩০৬ রান করে ভারত। জবাবে ১৭ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটে ৩০৯ রান তুলে নিয়েছে নিউ জ়িল্যান্ড। পরাজয়ের পর ধাওয়ানের মুখে শোনা গিয়েছে অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণের কথা।