ফাইল চিত্র।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেছিলেন ঈশান পোড়েল। এ বার তাঁর পরিবার থেকেই যুব বিশ্বকাপ খেলতে উড়ে যাচ্ছেন খুড়তুতো ভাই অভিষেক পোড়েল। সোমবার সকালে গায়ানার পথে রওনা দেবেন তিনি।
ভিভিয়ান রিচার্ডসের দেশে উড়ে যাওয়ার আগে দাদার সঙ্গে বিশেষ আলোচনায় বসেছিলেন ১৮ বছরের অভিষেক। তাঁর হাতে এক বিশেষ উপহার তুলে দেন ঈশান। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যে হেলমেট পরে তিনি খেলেছিলেন, ভাইয়ের হাতে সেই হেলমেট তুলে দিয়েছেন তিনি।
শনিবার আরও একটি ঘটনায় তৃপ্ত ঈশান। চন্দননগরের রাস্তায় এক ভক্ত এসে ঈশানকে বলেন, ‘‘তোমার সঙ্গে তোমার ভাইয়ের ছবিও তুলতে চাই। দু’জনেই যে চন্দননগরের গর্ব।’’
অভিষেকের জন্য গর্বিত দাদা ঈশানও। ভাইয়ের জন্য একটি প্ল্যাকার্ড অর্ডার দেওয়া হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে। যা পাড়ার মোড়ে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। ন্যাশনাল স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকে অভিষেকের জন্য পাঠানো হয়েছে মিষ্টির প্যাকেট। পোড়েল পরিবারের প্রত্যেকে তাঁকে ঘিরে আবারও বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
বাংলার হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে অভিষেক দু’টি সেঞ্চুরি করেছেন কোচবিহার ট্রফিতে। নব্বইয়ের ঘরেও দু’বার পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপ দলে শুরুতে সুযোগ পাননি। ভারতীয় দলের ছ’জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ২৯ জানুয়ারি কোয়ার্টার ফাইনাল। সেই ম্যাচে খেলার জন্য তৈরি থাকতে হবে তাঁকে।
অভিষেক বলছিলেন, ‘‘প্রথমে বলা হয়েছিল ছ’দিনের কোয়রান্টিনে থাকতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পৌঁছনোর পরে। কিন্তু এখান থেকেই দু’টি কোভিড পরীক্ষার ফল নিয়ে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে তিন দিনের কোয়রান্টিন পালন করতে হতে পারে।’’
শনিবার দুপুরে অভিষেকের সঙ্গেই মধ্যাহ্নভোজ করেন ঈশান। সেখানেই দুই ভাইয়ের আলোচনা জমে ওঠে আসন্ন বিশ্বকাপ ঘিরে। ঈশান বলছিলেন, ‘‘আমি সত্যি গর্বিত। আমাদেরই পরিবার থেকে আরও একজন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে। ওকে বলে দিয়েছি অতিরিক্ত চাপ না নিতে। যে ভাবে কোচবিহার ট্রফিতে রান করেছে, একই ভঙ্গিতে যেন ওখানে খেলে। সুযোগ পাবে কি না, তা চিন্তা করে লাভ নেই। মাঠে নামার জন্য মানসিক ভাবে তৈরি থাকতেই হবে ওকে।’’
দাদার পরামর্শ পেয়ে আপ্লুত অভিষেকও। বলছিলেন, ‘‘ওকে দেখেই ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা তৈরি হয়। আজ দুপুরে ওর হাত থেকে এই উপহার পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। বিশ্বকাপে যে হেলমেট পরে ও খেলেছে, আমার হাতে আজ সেটা তুলে দিল ও।’’