Neutron Star

ঝকঝকে নক্ষত্রের আশপাশেই লুকিয়ে আছে অশরীরি ‘তাঁরা’!

মহাকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলিরই স্থায়িত্ব হয় সবচেয়ে কম। তারা তাদের ভিতরের হাইড্রোজেন ১০ লক্ষ বছরের মধ্যেই শেষ করে ফেলে। তার পর একটি বিস্ফোরণ হয়ে মৃত্যু হয় তারার। 

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৩০
ছায়া পথ কি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে?

ছায়া পথ কি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে? প্রতীকী ছবি।

তারা নয় ‘তাঁরা’। রাতের আকাশে ঝকঝক নক্ষত্রদেরও তো মৃত্যু হয়। সেই সব মৃত তারাদের নিয়েই সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, ছায়াপথ বা আকাশ গঙ্গায় ভরে রয়েছে এই সব মৃত তারায়। তাদের সংখ্যা এতটাই বেশি যে, প্রতিটি জীবিত তারার ১০০ আলোক বর্ষের মধ্যেই পাওয়া যাবে অন্তত একটি ‘অশরীরি’ তারাকে। যেমন সূর্যের সবচেয়ে কাছের মৃত তারাটির দূরত্ব ৬৫ আলোকবর্ষ।

মহাকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলিরই স্থায়িত্ব হয় সবচেয়ে কম। তারা তাদের ভিতরের হাইড্রোজেন ১০ লক্ষ বছরের মধ্যেই শেষ করে ফেলে। তার পর একটি বিস্ফোরণ হয়ে মৃত্যু হয় তারার। শেষে থেকে যায় শুধু মূল অংশটুকু। হয় জৌলুসহীন বস্তু হয়ে নয়তো আশপাশের সবকিছু গিলে খাওয়া কৃষ্ণ গহ্বর হয়ে। কিন্তু সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ছয়াপথ থেকে এই মৃত তারারাও ছিটকে যাচ্ছে কখনও সখনও। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি হারিয়ে তারা বেরিয়ে যাচ্ছে ছায়াপথের আগল ছেড়ে। ঘটনাটিকে মজাচ্ছলে কবর খানা থেকে অশরীরিদের বেরিয়ে পড়া বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

Advertisement

সম্প্রতি রুবিন অবজার্ভেটরি থেকে বিষয়টি লক্ষ্য করেছে বিজ্ঞানীদের একটি দল। তারা প্রশ্ন তুলেছে, ছায়া পথ থেকে এই নক্ষত্রদের বেরিয়ে যাওয়া কি স্বাভাবিক! তা যদি হয় তবে তো একে একে সব নক্ষত্রই মৃত্যুর পর ছায়াপথ ছেড়ে বেরিয়ে যাবে। এ ভাবে চললে তো একটা সময় তো ছায়া পথে আর নক্ষত্রই থাকবে না। তবে কি সেটাই হতে চলেছে ভবিষ্যৎ!

জবাবে অবশ্য মহাকাশ বিজ্ঞানীদেরই একাংশ জানিয়েছেন, ছায়াপথ এতটাই বিপুল যে সেই সম্ভবনা আপাতত অনেক দূরের বিষয়। তবে তাঁরা এটাও মেনে নিয়েছেন যে, বিষয়টি প্রণিধান যোগ্য তো বটেই।

আরও পড়ুন
Advertisement