নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ইসরো। —ফাইল চিত্র।
বছরের শুরুর দিনেই ছক্কা হাঁকাতে চলেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। আগামী ১ জানুয়ারি তারা একটি স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের উৎক্ষেপণ করতে চলেছে। মহাকাশ গবেষণার দুনিয়ায় যা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
দেশের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে ইসরো। সংক্ষেপে যার নাম এক্সপোস্যাট। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ১ জানুয়ারি সকাল ৯টা ১০ মিনিটে পোলার স্যাটেলাইন লঞ্চ ভেহিক্ল বা পিএসএলভি-র পিঠে চেপে যাত্রা শুরু করবে এক্সপোস্যাট। ভারতের মহাকাশ গবেষণায় যা মাইলফলক হতে চলেছে। কারণ, এই ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ এর আগে এক বারই মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে। ২০২১ সালে তা উৎক্ষেপণ করেছে নাসা। আমেরিকার পর এ ক্ষেত্রে তাই ভারতই দ্বিতীয় দেশ যে এই স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ করছে।
পৃথিবীর মাটি ছেড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার উঁচুতে উঠবে এক্সপোস্যাট। তার পর নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে। পৃথিবী থেকে বেশি দূরে না গেলেও এক্সপোস্যাট-এর ‘হাত’ কিন্তু অনেক লম্বা। মহাকাশের দূরের বস্তু নিয়ে কাজ করবে সে।
মহাকাশের মোট ৫০টি উজ্জ্বলতম শক্তির উৎসকে পর্যবেক্ষণ করবে ইসরোর এক্সপোস্যাট। ব্ল্যাক হোলের পর্যবেক্ষণও সেই তালিকায় রয়েছে। নিউট্রন স্টার এবং একাধিক দূরবর্তী তারার পর্যবেক্ষণ করবে এই স্যাটেলাইট। মহাকাশে অন্তত পাঁচ বছরের আয়ু নিয়ে যাচ্ছে এক্সপোস্যাট।
২০২১ সালে নাসা যে কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে, তার নাম ইমেজিং এক্স-রে পোলরিমেট্রি এক্সপ্লোরার (আইএক্সপিই)। ভারতে এমন প্রচেষ্টা এই প্রথম।
এক্স-রে উৎসের মেরুকরণ পর্যবেক্ষণ করবে এক্সপোস্যাট। এর মধ্যে রয়েছে দু’টি পেলোড— পোলিক্স (পোলারিমিটার ইনস্ট্রুমেন্ট ইন এক্স-রে) এবং এক্সস্পেক্ট (এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপি অ্যান্ড টাইমিং)। রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার যৌথ ভাবে এই পেলোড তৈরি করেছে। মহাজাগতিক বস্তু পদার্থবিদ্যায় এই যন্ত্রগুলি নতুন দিশা দেখাতে চলেছে বলে বিশ্বাস বিজ্ঞানীমহলের।