চাঁদের নিকটে চন্দ্রযান-৩। ছবি: সংগৃহীত।
চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ নির্ধারিত সময়েই হতে চলেছে, আশাবাদী ইসরো। এখনও পর্যন্ত ল্যান্ডারে কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি। পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে বিক্রম। মঙ্গলবার ইসরোর তরফে টুইট করেও সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইসরো জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়েই চন্দ্র অভিযান সম্পন্ন হতে চলেছে। নিয়মিত ল্যান্ডারটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মহাকাশে নির্ঝঞ্ঝাটেই ভাসছে বিক্রম। বুধবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে ইসরো চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণের সরাসরি সম্প্রচার শুরু করবে।
চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ কি পিছিয়ে যেতে পারে? তেমন সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছেন না ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সোমবার ইসরোর আমদাবাদ শাখার ডিরেক্টর নীলেশ এম দেশাই জানিয়েছিলেন, প্রয়োজন হলে নির্ধারিত দিনে ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণ না-ও হতে পারে। তা পিছিয়ে যেতে পারে আগামী ২৭ অগস্ট পর্যন্ত।
কেন চার দিন পিছিয়ে যেতে পারে চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ? দেশাই জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার মডিউলে শেষ মুহূর্তে কোনও রকম সমস্যা দেখা দিলে অবতরণ পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে, আগামী ২৭ তারিখ অবতরণ করানো হবে। তবে সে সবই নির্ভর করছে বিজ্ঞানীদের সিদ্ধান্তের উপর। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বুধবার অবতরণের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের ঠিক দু’ঘণ্টা আগে।
ইসরো আগেই ঘোষণা করেছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটি ছোঁবে। কিন্তু দেশাই জানান, ওই সময়ের দু’ঘণ্টা আগে তার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা। যদি দেখা যায় ল্যান্ডার মডিউলে কোনও সমস্যা নেই, তবে নির্ধারিত সময়েই অবতরণ হবে। কিন্তু যদি সেই সময় ল্যান্ডারে কোনও সমস্যা দেখা যায়, তবে অবতরণ পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে।
যদিও অবতরণ পিছিয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলেই মনে করছেন দেশাই। ইসরোর অন্যান্য আধিকারিকেরও ধারণা, বুধবারই ল্যান্ডারটিকে চাঁদের মাটিতে নামানো যাবে।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ সোমবারই কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জীতেন্দ্র সিংহের সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে দেখা করেন। চন্দ্রযান-৩-এর অবস্থা, অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁকে বিস্তারিত জানান। মূল মহাকাশযান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। বর্তমানে চাঁদের থেকে তার দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। পাথর, খাদ এড়িয়ে ঠিক কোন অংশে অবতরণ করা যায়, ল্যান্ডারের ক্যামেরা সেটাই খতিয়ে দেখছে। অবতরণের আগে অনবরত ল্যান্ডারের গতিবিধির দিকে নজর রাখা হয়েছে।