এসে পড়েছে খুব কাছাকাছি। ডিসেম্বরের গোড়ার দিক থেকে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে খালি চোখেই। ছবি- নাসার সৌজন্যে।
মাথার চার দিকের বলয় থেকে বেরিয়ে আসছে সবুজ রঙের আলো। আর তার লেজখানাও বেশ লম্বা।
আর ক’দিন পরেই দেখা যাবে ‘লিওনার্ড’কে। ডিসেম্বরের গোড়ার দিক থেকেই। মাসের প্রায় শেষ পর্যন্ত। খালি চোখেই।
লিওনার্ড ডিসেম্বরেই পৃথিবী আর তার ‘যমজ গ্রহ’ শুক্রের খুব কাছে এসে পড়বে। সেই পথ ধরেই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে আগামী বছরের জানুয়ারিতে লিওনার্ড আবার চলে যাবে দূরে। ফিরে আসবে ১২ বছর পর।
গত ৩ জানুয়ারি এই ধূমকেতুটিকে আবিষ্কার করেন মাউন্ট লেমন অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী জি জে লিওনার্ড। আমজনতার জন্য তাঁর নামেই নামকরণ করা হয় ধূমকেতুটির। যদিও জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই ধূমকেতুর নাম ‘C/2021 A1’। সেই সময় ধূমকেতুটি সবে ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলের কক্ষপথ পেরিয়েছিল।
ক্যালিফোর্নিয়ার জুন লেকের কাছে নাসার তোলা ধূমকেতুর এই ছবিটি প্রায় এক সপ্তাহ আগের। তখন পৃথিবী থেকে অনেকটাই দূরে ছিল লিওনার্ড। তবে সেই সময়ই তার সবুজ রঙের মাথার বলয়টিকে (যার নাম- ‘কোমা’) বেশ স্পষ্টই দেখা যায়। দেখা যায় তার লম্বা লেজটিও।
প্রদক্ষিণের পথে কোনও ধূমকেতু যত সূর্যের কাছে আসে, ততই তার ভিতরে থাকা বরফ সূর্যের তাপ ও টানে (অভিকর্ষ বল) বেরিয়ে এসে তৈরি করে তার লেজ। সূর্যের সঙ্গে দূরত্ব কমার সঙ্গে সঙ্গে তার লেজও ক্রমশ লম্বা হতে থাকে।
নাসা জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি লিওনার্ড আকাশের উত্তর দিক থেকে চলে যাবে দক্ষিণ দিকে।