Chandrayaan-3 detects Moonquake

চাঁদে ভূমিকম্প! ধরা পড়ল বিক্রমের ‘ইলসা’ যন্ত্রে, কী ভাবে কম্পন, কেন কম্পন, খতিয়ে দেখছে ইসরো

ইসরো জানিয়েছে, বিক্রমের ভূমিকম্প শনাক্তকারী পেলোড ‘ইলসা’ এই কম্পন চিহ্নিত করেছে। এর আগেও রোভার প্রজ্ঞান এবং অন্যান্য পেলোডের কারণে হওয়া কম্পন ধরা পড়েছিল ইলসায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৩০
Chandrayaan-3 Lander Vikram records natural movement on lunar surface

চাঁদের মাটিতে দাঁড়িয়ে ল্যান্ডার বিক্রম। —ফাইল চিত্র ।

তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান চন্দ্রপৃষ্ঠে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর মধ্যেই কেঁপে উঠেছিল চাঁদের মাটি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা জানিয়েছে, গত ২৬ অগস্ট ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদে একটি ‘প্রাকৃতিক’ ভূমিকম্প চিহ্নিত করেছে।

Advertisement

ইসরো জানিয়েছে, ল্যান্ডারের ভূমিকম্প শনাক্তকারী পেলোড ইলসা (ইনস্ট্রুমেন্টস ফর লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি) এই কম্পন শনাক্ত করেছে। এর আগেও রোভার প্রজ্ঞান এবং অন্যান্য পেলোডের কারণে হওয়া কম্পন ধরা পড়েছিল ইলসায়। কিন্তু ২৬ অগস্টের কম্পন কী কারণে হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পেলোড ইলসা-র প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল, ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণস্থলের আশপাশের মাটির কম্পন এবং এর প্রভাব সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা।

বৃহস্পতিবার, ‘এক্স’ (টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে ইসরো লিখেছে, ‘‘তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডারের পেলোড ইলসা, রোভার এবং অন্যান্য পেলোডের গতিবিধির কারণে হওয়া কম্পন চিহ্নিত করেছে। একই সঙ্গে ২৬ অগস্ট ইলসা আরও একটি কম্পন চিহ্নিত করেছে। যা প্রাকৃতিক বলে মনে করা হচ্ছে।’’ এই কম্পনের উৎস কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরো। ইলসাতে চাঁদের মাটির যে কম্পন ধরা পড়েছে, তা এক লেখচিত্রের মাধ্যমেও প্রকাশ্যে এনেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

২৩ অগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে নেমেছিল তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার। পরের দিন ভোরে ইসরো জানায়, ল্যান্ডারের পেট থেকে সফল ভাবে বেরিয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। সেটি ঘুরে ঘুরে চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সালফারের উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছে সেই যন্ত্র। ছ’চাকা বিশিষ্ট রোভারের গতি সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার মাত্র। ১৪ দিন অর্থাৎ এক চন্দ্রদিবস পর্যন্তই তার আয়ু। চাঁদে সূর্য ডুবে গেলে আর এই যন্ত্র কাজ করবে না। চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে আরও ভাল ভাবে বোঝার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে প্রজ্ঞান।

আরও পড়ুন
Advertisement