একাদশীর সকাল থেকেই কলকাতার কোণায় কোণায় সিঁদুরখেলা, দেবীবরণের ধুম পড়েছে। বাদ নেই টলিউডের নায়িকারাও। দর্শনা বণিক, স্বস্তিকা দত্ত, সুস্মিতা দে এবং সায়নী ঘোষকে দেখা গেল পুজোর আমেজে।
প্রতি বছরের মতো ক্যাডবেরি সেলিব্রেশনস নিবেদিত আনন্দবাজার অনলাইন সেরা সর্বজনীন অনুষ্ঠিত হল মহাড়ম্বরে। উপস্থিত ছিলেন দর্শনা, সুস্মিতা এবং স্বস্তিকা।
তিন নায়িকার পরনেই ছিল লালের ছোঁয়া। তাঁদের মধ্যে দর্শনার জন্য এ বছরের পুজো একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ের পরের প্রথম পুজো। মোটা শাঁখা-পলা লাল শাড়িতে তিনি অপরূপা।
তবে লাল তো কেবল বিবাহের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। লাল আনন্দের রং, রক্তের রং, জীবনের রং। সেই রঙেই রাঙা হয়েছেন স্বস্তিকা এবং সুস্মিতাও। নিষ্ঠা ভরে দেবী বরণ করার পর আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে পুজোর আনন্দে মেতে উঠলেন তাঁরা।
সুস্মিতা ঢাকে কাঠি ছোঁয়ালেন। তাঁর তালে পা মেলালেন স্বস্তিকা-দর্শনা। হাতে নিলেন ধুনুচি। তিন নারীর আনন্দ একই সুরে ও তালে বাঁধা পড়ল।
সকলের সঙ্গে ছবি তুলে, নিজস্বীও তুললেন নায়িকারা। আবাসনের মহিলাদের সঙ্গে ঢাকের তালে, গানের তালে পা মিলিয়ে নাচলেন তাঁরা।
এখানেই শেষ নয়, তার পর দর্শনা পৌঁছলেন হাজরা পার্কের পুজোয়। আর সেখানে দেখা পেলেন সায়নী ঘোষেরও। ছবি তুললেন একসঙ্গে।
সিঁদুর খেলে দেবী বরণ করলেন সায়নীও। অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদকে দেখতে ভিড় জমেছিল পুজোর প্যান্ডেলে।
সায়নীর জমজমাটি মেজাজ ধরা পড়ল একাদশীর দিনেও। ঢাক বাজিয়ে উপযুক্ত আবহ তৈরি করলেন সায়নী। অভিনেত্রীর ঢাকের তালে নাচ করলেন আশপাশের সকলে।
দর্শনা সেখানেও দেবী বরণ করলেন। সারা দিনের একের পর এক কর্মসূচি যেন কাজ নয়, আনন্দেরই আর এক রূপ তাঁর কাছে।