তামিলনাড়ু সরকারের সেই বিতর্কিত বিজ্ঞাপন। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। গত বছরেই যারা চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার স্বীকৃতি পাইয়ে দিয়েছে ভারতকে। দেশের গর্বের সেই ইসরোর বিজ্ঞাপনেই নাকি পড়শি দেশের পতাকা ভেসে উঠছে! তা-ও আবার সেই পড়শি আর কেউ নয়, একেবারে চিন! যার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবর আদায়-কাঁচকলায়। ইসরোর বিজ্ঞাপনে তামিলনাড়ু সরকারের সেই ভুল ধরে এ বার তুলোধনা করল বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি কে আন্নামালাই ডিএমকে সরকারকে আক্রমণ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন।
তামিলনাড়ুর কুলসেকরপট্টিনমে ইসরোর নতুন একটি মহাকাশ বন্দর তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই বন্দরের উদ্বোধন করছেন। তামিলনাড়ু সরকারের মৎস্য দফতর ওই মহাকাশ বন্দরের প্রচার এবং উদ্যাপনের জন্য একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। বিজ্ঞাপনটি জারি করেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অনিতা রাধাকৃষ্ণান। বিজ্ঞাপনের মূল উদ্দেশ্য এই মহাকাশ বন্দরের গঠনে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধি এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের কৃতিত্ব প্রচার। সেই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করেই বিতর্কের সূত্রপাত। বিজ্ঞাপনটি বহুল প্রচলিত স্থানীয় দু’টি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
ওই বিজ্ঞাপনে একটি রকেট দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, তাতে রয়েছে চিনের পতাকার চিহ্ন। আন্নামালাই এক্স হ্যান্ডেলে এই বিজ্ঞাপনের বিরোধিতা করে জানান, বিজ্ঞাপনটি ‘ভারতের সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা করেছে’। তিনি লেখেন, ‘‘এই বিজ্ঞাপন দেখায়, ডিএমকে চিনের প্রতি কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই দলটি দুর্নীতিতে সিদ্ধ। ইসরো যে দিন থেকে দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাডের কথা ঘোষণা করেছে, সে দিন থেকে ডিএমকে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অতীতের ত্রুটি ধামাচাপা দিতেই ওরা এতটা মরিয়া।’’
এ প্রসঙ্গে অতীতের প্রসঙ্গ টেনে আন্নামালাই আরও বলেন, ‘‘প্রথম লঞ্চিং প্যাডের জন্য ইসরো তামিলনাড়ুকেই প্রথমে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু সে সময়ে রাজ্য সরকারের অপদার্থতা দেশের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তামিলনাড়ুর মুখ পুড়িয়েছিল। সেই ডিএমকে এখনও বদলায়নি। বরং আরও খারাপ হয়েছে।’’
কুলসেকরপট্টিনমে নতুন যে মহাকাশ বন্দর তৈরি করেছে ইসরো, সেখানে ছোট কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের উপর জোর দেওয়া হবে। এসএসএলভি (স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চিং ভেহিকল) রকেটের ব্যবহার হবে ওই লঞ্চিং প্যাডে। এর ফলে ভারতের মহাকাশ গবেষণার কাজে আরও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।