ওট্স দিয়ে তৈরি সুস্বাদু রেসিপির হদিস।
বানানোর পদ্ধতি সহজ এবং পুষ্টিকরও বটে। যাঁরা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য প্রাতরাশে ওট্স একটি অত্যন্ত পছন্দের খাবার। এই খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে। ওটসে ক্যালোরির মাত্রা অত্যন্ত কম। এ ছাড়াও ওজন ঝরাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে ওট্সের কোনও তুলনা নেই। এতে প্রচুর ফাইবার আছে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে ওট্স খেলে।
তবে রোজ দুধ-ওট্স কিংবা দই-ওট্স খেতে একঘেয়ে লাগে। ওট্স দিয়েই বানানো যায় ভিন্ন স্বাদের কিছু খাবার? রইল তারই হদিস।
ওট্স ইডলি: দু’কাপ ওট্স নিয়ে একটু শুকনো প্যানে ভেজে নিন। এ বার মিক্সিতে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে সর্ষে, বিউলির ডাল ও ছোলার ডাল ফোড়ন দিন। এ বার পেঁয়াজ কুচি, গাজর কুচি, বিন্স কুচি এবং সামান্য নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। এ বার এই মিশ্রণ ওটসের গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে তাতে এক কাপ দই দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। চাইলে ধনেপাতা ও কাঁচালঙ্কাও দিতে পারেন। এ বার ইডলির স্টিমারে ১৫ মিনিট স্টিম করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ওট্স ইডলি।
ওট্স ফাজ: আধ কাপ ওট্স এবং এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ একটি কাচের জারে ভরে নিন। এক-আধ কাপ দুধ মিশ্রণে দিয়ে দিন। এক টেবিল চামচ পিনাট বাটার ও এক টেবিল চামচ মেপল সিরাপ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। কাচের বয়ামে ঢাকনা লাগিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রাখুন। সকালে পছন্দের ফল, ও বাদাম কুচি ছড়িয়ে সেরে ফেলুন প্রাতরাশ।
ওট্সের কুকিজ: কুকিজ খেতে কম-বেশি সকলেই ভালবাসেন। চায়ের সঙ্গে নানা স্বাদের কুকিজ খেতেও মন্দ লাগে না। চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন ওটসের কুকিজ। মিক্সারে ১১০ গ্রাম মাখন, আধ কাপ ব্রাউন সুগার, ১টি কলা, ১/৪ কাপ ময়দা, ১ চা চামচ দারচিনি, ১ চা চামচ বেকিং সোডা এবং দেড় কাপ ওট্স মিশিয়ে একটি আঠালো মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি থেকে কুকিজের আকারে গড়ে মাইক্রোওয়েভ অভেনে ৮-১০ মিনিট বেক করে নিলেই তৈরি ওট্সের কুকিজ।