নিরামিষ হলেও খেতে মাংসের মতো! ছবি: শাটারস্টক।
সপ্তাহে এক দিন অনেক বাঙালি বাড়িতেই নিরামিষ রান্না খওয়ার চল। পদের বৈচিত্রের দিক থেকে আমিষ রান্নার সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দেয় নিরামিষ খাবার। কিছু-কিছু নিরামিষ পদের স্বাদ তো মুখে লেগে থাকে আজীবন। তবে অনেকেই আছেন যাঁরা বাড়িতে নিরামিষ রান্না হয়েছে শুনে মুখ বেজার করে থাকেন। মাংস ছাড়া তাঁদের চলে না! এমন অনেক নিরামিষ খাবার রয়েছে, যা ঠিকঠাক ভাবে রান্না করতে পারলে খেতে একেবারে মাংসের মতোই লাগে। ভাবছেন তো, এমন কী পদ রয়েছে?
মশলা সয়াবিন: একটু তেল-মশলা দিয়ে কষিয়ে সয়া বড়ি রান্না করতে পারলে তা মাংসের মতোই খেতে লাগে। কষা মাংস ব্যবহার করতে যে-যে উপকরণ প্রয়োজন সেই সব দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন মশালা সয়াবিন। বড় আকারের সয়া সেদ্ধ করার পর অনেকেই তাতে একটি গন্ধ পান। সেদ্ধ করার পর হালকা করে ভেজে নিন, মশলার সঙ্গে অনেকক্ষণ কষিয়ে রান্না করলে কিন্তু কোনও রকম গন্ধ আর থাকবে না, সঙ্গে রান্নার স্বাদও বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। সব শেষে ঘি আর গরম মশলা দিতে ভুলবেন না যেন।
সয়া চাপ কারি: সয়াবিনের তৈরি এই চাপগুলি অনলাইনেই কিনতে পাওয়া যায়। ইচ্ছে করলে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন। সয়াবিনের পেস্ট আর ময়দা মিশিয়ে মণ্ড বানিয়ে নিন। এ বার সেই মণ্ড থেকে রুটির মতো বানিয়ে সরু সরু আকারে কেটে নিয়ে কাঠির মধ্যে রোল করে তার পর সেগুলিকে জলে সেদ্ধ করেই সোয়া চাপ বানানো হয়। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচালঙ্কা, সব রকম গুঁড়ো মশলা আর দই দিয়ে মশলা তৈরি করে তার মধ্যে সয়া চাপ ভাজা দিয়ে কষিয়ে নিলেই মাংসের মতো সুস্বাদু পদ তৈরি হয়ে যাবে।
এঁচোড়ের কালিয়া: বাঙালি হেঁশেলে সাধারণত এঁচোড়ের ডালনা কিংবা চিংড়ি মাছ দিয়ে এঁচোড় রাঁধারই চল বেশি। কিন্তু অনুষ্ঠান বাড়িতে অনেক সময়ই মাংসের মতো কষিয়ে এঁচোড় রান্না করা হয়। সে ক্ষেত্রে এঁচোড়ের টুকরোগুলি একটু বড় মাপের করে কাটা হয়। দেখতেও খানিকটা মাংসের মতোই লাগে। এঁচোড়ের টুকরোগুলিকে নুন, হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে ভাল করে ভেজে নিয়ে, তার পরেই রান্না করা হয়। এই রান্নায় পেঁয়াজ, রসুন একটু বেশি মাত্রায় ব্যবহার করা হয়।