শেষপাতে মিঠাই নয়, পরিবেশন করুন স্বাস্থ্যকর শ্রীখণ্ড। ছবি: শাটারস্টক।
যা গরম পড়েছে, তাতে শুধু জল খেয়ে সাধ মিটছে না। তাই তীব্র দাবদাহের হাত থেকে মুক্তি পেতে ঘোল, লস্যি, ছাঁচ— এ সব পানীয়ের উপরেই ভরসা রেখেছেন। অনেকে আবার গোটা গরমকাল জুড়েই টক দই দিয়ে ভাত খান। গরমের মরসুমে দই যে শুধু হজমে সহায়ক, তা নয়, পেটের যে কোনও সমস্যাতেই দই খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের মতে গরমের সময় রোজকার ডায়েটে যত বেশি দই রাখা যায়, ততই ভাল। গরমের মরসুমে শেষপাতের মিষ্টিমুখটাও যদি দই দিয়ে করা হয়, তা হলে কেমন হয়? বানিয়ে ফেলতে পারেন শ্রীখণ্ড। গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের মিষ্টির পদগুলির মধ্যে অন্যতম হল শ্রীখণ্ড। দইয়ের মধ্যে নানা কিছু মিশিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করা হয় এই পদ। গুজরাতের অনেক জায়গায় পুরি বা লুচির সঙ্গেও দেওয়া হয় শ্রীখণ্ড। দই দিয়ে মিষ্টিমুখ করতে চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন হরেক স্বাদের শ্রীখণ্ড। রইল রেসিপি।
আম শ্রীখন্ড: গরমের সময় বাজারে পাকা আমের ছড়াছড়ি। একটি আম কেটে তার ক্বাথ বানিয়ে নিয়ে জল ঝরানো দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। আম মিষ্টি না হলে সামান্য গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে মিশ্রণটি একটি মাটির ভাঁড় কিংবা কাচের বাটিতে ঢেলে তার উপরে কুচনো আম ছড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
গোলাপ শ্রীখণ্ড: জল ঝরানো টক দইয়ের সঙ্গে রোজ় সিরাপ আর পরিমাণ মতো চিনির গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার মাটির ভাঁড় কিংবা কাচের বাটিতে মিশ্রণটি ঢেলে তার উপরে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। করুন। ঘণ্টাখানেকেই তৈরি হয়ে যাবে গোলাপ শ্রীখণ্ড।
কফি শ্রীখণ্ড: জল ঝরানো টক দইয়ের সঙ্গে কফির গুঁড়ো, মিল্ক চকোলেট পাউডার আর পরিমাণ মতো চিনির গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার মাটির ভাঁড় কিংবা কাচের বাটিতে মিশ্রণটি ঢেলে তার উপরে খানিকটা চকো চিপ্স ছড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। আট থেকে আশি, সকলেই পছন্দ করবেন এই কফি শ্রীখণ্ড।