মুগডাল দিয়ে তৈরি নাস্তা। ছবি: শাটারস্টক।
ভাতের সঙ্গে তরকারি, মাছ, মাংস— যা-ই থাকুক না কেন, ডাল না হলে চলে না। সাধারণ গেরস্ত বাড়িতে মুগডাল খাওয়ার চলই বেশি। যেহেতু মুসুর ডালে প্রোটিন বেশি, তাই অনেকেরই ধারণা, এই ডাল বেশি খাওয়া ভাল না। সাধারণ খিচুড়ি হোক বা মাছের মাথা দিয়ে ডাল— মুগের প্রাধান্যই বেশি। আবার, গরমকালে লাউ কিংবা আম দিয়ে মুগডালের পদ, তা-ও বেশ উপাদেয়। তবে, পেটে গ্যাস বা অম্বল হওয়ার ভয়ে অনেকেই মুগডাল বেশি খেতে চান না। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অন্যান্য ডালের চেয়ে মুগডালের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। মুসুরের মতো না হলেও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হিসাবে মুগডালও বেশ ভাল। কেবল মাছের মাথা দিয়ে ডাল কিংবা তেতোর ডাল বানাতেই নয়, মুগডাল দিয়ে কিন্তু বানিয়ে ফেলতে পারেন বাহারি পদ। প্রাতরাশ থেকে বিকেলের জলখাবার, মুগডাল দিয়েই বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু কয়েকটি রেসিপি।
মুগডালের অমলেট: মুগ ডাল বাটার সঙ্গে সব পেঁয়াজ কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, নুন একসঙ্গে মিশিয়ে জল দিয়ে একটা ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ বার ননস্টিকে নামমাত্র তেল দিয়ে প্যানকেকের আকারে শ্যালো ফ্রাই করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ভেজি প্যানকেক। টিফিনে জমে যাবে মুগডাল দিয়ে তৈরি এই নিরামিষ অমলেট।
মুগডালের স্যান্ডউইচ: মুগডাল বেটে নিয়ে তার মধ্যে সামান্য নুন মিশিয়ে নিন। এ বার একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, টম্যাটো কুচি আর চাটমশলা একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এ বার স্যান্ডউইচ মেকারে এক বড় চামচ সেই মিশ্রণ দিয়ে তার উপর সব্জির মিশ্রণ আর চিজ দিয়ে দিন। তার পর আরও এক চামচ মুগডালের মিশ্রণ দিয়ে ঢেকে দিন। খানিক ক্ষণ টোস্ট করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু স্যান্ডুইচ।
মুগ ডাল চাট: অঙ্কুরিত গোটা মুগ ডালের সঙ্গে পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, শসা, ধনেপাতা, টম্যাটো, লেবু, তেঁতুলের ক্বাথ, ভাজা জিরের গুঁড়ো, চাটমশলা মিশিয়ে চাট বানিয়েও খেতে পারেন। সন্ধ্যাবেলা এক বাটি এই চাট খেলে পেটও ভরবে আর ওজনও বাড়বে না।
মুগডালের কাটলেট: মুগডাল খানিকটা জলে ভিজিয়ে সেই মিশ্রণটি মিক্সিতে বেটে নিন। তার পার মুগডাল বাটার সঙ্গে পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, টম্যাটো, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, চাটমশলা দিয়ে টিক্কির আকারে গড়ে নিন। অল্প তেলে ভাল করে ভেজে নিলেই তৈরি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর কাটলেট।
মুগডালের পরোটা: মুগডাল আধ সেদ্ধ করে নিন। এ বার জল ভাল করে ঝরিয়ে নিন। ডালের সঙ্গে নুন, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো আর বেসন মিশিয়ে একটি মণ্ড তৈরি করে নিন। এ বার পরোটার আকারে গড়ে নিয়ে অল্প ঘিয়ে সেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ডালের পরোটা। সস্ কিংবা ধনেপাতা-রসুনের চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।