পেঁয়াজকলি পোস্ত। ছবি: কুক প্যাড।
একঘেয়ে আলু পেঁয়াজকলি ভাজা খেতে কি আর ভাল লাগে! অথচ শীতের বাজার মানে তাতে পেঁয়াজকলি থাকবেই। ফ্রিজ খুলে সব্জির বাক্সে পেঁয়াজকলির তোড়া দেখে যদি ‘কী রাঁধব!’ ভেবে মুখ ব্যাজার হয়, তবে মুশকিল আসান করতে পারে এই পদ। নাম পেঁয়াজকলি পোস্ত। নিরামিষ রান্না। তবে চাইলে এই রান্নায় মাছ দিয়ে আমিষও বানিয়ে নিতে পারেন। শীতের পেঁয়াজকলির স্বাদ বদলের জন্য দু’টি রেসিপিই দেওয়া রইল।
মাছ ছাড়া পেঁয়াজকলি পোস্ত
উপকরণ:
২৫০ গ্রাম পেঁয়াজকলি (টুকরো করে কাটা)
১টি মাঝারি পেঁয়াজ সরু করে কাটা (চাইলে বাদ দিতে পারেন)
৪চা চামচ পোস্তবাটা
স্বাদমতো কাঁচা লঙ্কাবাটা
১/২ চা চামচ হলুদগুঁড়ো
১/২ চা চামচ পাঁচফোড়ন
স্বাদমতো নুন
প্রয়োজন অনুযায়ী সর্ষে তেল
প্রণালী:
কড়ায় তেল দিয়ে, পাঁচফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে নিন। এর পরে ওর মধ্যেই কেটে রাখা পেঁয়াজকলি, নুন এবং হলুদগুঁড়ো দিয়ে পেঁয়াজকলি নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। পেঁয়াজকলি নরম হলে তাতে পোস্তবাটা, কাঁচলঙ্কাবাটা দিয়ে ৫-৭ মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। উপরে সর্ষের তেল ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
মাছ দিয়ে পেঁয়াজকলি পোস্ত
উপকরণ:
৪ টুকরো রুই মাছ
২টেবিল চামচ পোস্তবাটা
স্বাদমতো নুন
স্বাদমতো চিনি
১/৪ চা চামচ কালো জিরা
১/২ কাপ পেঁয়াজকলি
১ টা টম্যাটো কুচি
১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
১/২ চা চামচ হলুদগুঁড়ো
২-৩ টে কাঁচালঙ্কা চেরা
১/২ চা চামচ জিরে এবং ধনেগুঁড়ো
পরিমাণমতো সর্ষের তেল
প্রণালী:
কড়ায় তেল দিয়ে মাছের টুকরোগুলো নুন- হলুদ মাখিয়ে ভাল করে ভেজে নিন। ওই তেলেই কাঁচালঙ্কা, কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকলি, টম্যাটো এবং ধনে-জিরেগুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে পোস্তবাটা দিন।
পোস্তবাটা ভাল করে নাড়াচাড়া করে অল্প জল এবং প্রয়োজনমতো নুন, চিনি দিয়ে ফুটতে দিন। ফুটে গেলে ওর মধ্যে মাছের টুকরোগুলো দিয়ে উপরে ধনেপাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।