ছবি : শঙ্করি’জ় কিচেন।
বাঁধাকপি দিয়ে সাধারণত চচ্চড়িই রাঁধা হয় বাঙালি বাড়িতে। আলু-জিরে-আদাবাটা-হলুদ-তেজপাতা-শুকনো লঙ্কা দিয়ে কষিয়ে রাঁধা। শীতকাল হলে তাতে কড়়াইশুটিও পড়ে। সব মিলিয়ে ভাতের সঙ্গে পাতলা মুুসুরের ডাল দিয়ে বাঁধাকপির চচ্চড়ি খেতে ভালই লাগে। কিন্তু একঘেয়ে বাঁধাকপির চচ্চড়ি রাঁধবেনই বা কেন!
বাঁধাকপি শীতের ফসল। এখন সারা বছর বাঁধাকপি পাওয়া গেলেও শীতের বাঁধাকপির স্বাদ হয় আলাদা। দেখতেও হয় তরতাজা। শীতের তাজা বাঁধাকপি স্রেফ পাঁচফোড়ন আর শুকনো লঙ্কা দিয়ে ভাজা ভাজা করেও খান অনেকে। কিন্তু বাঁধাকপি একটি শাহি ঢঙে খেতে চাইলে এই রেসিপিটি বেঁধে দেখতে পারেন।
অনেকে একে বলেন বাঁধাকপির পাতুরি! তবে পাতুরি রাঁধতে হলে পাতা দরকার। এই রেসিপিটি পাতা ছাড়াও রান্না করতে পারেন। অল্প সময়ের রান্না। কিন্তু একটি পদেই এক থালা গরম ভাত ফাঁকা হয়ে যাবে।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
১টি বাঁধাকপি
১/৩ কাপ কড়াইশুঁটি
৩-৪ টি কাঁচালঙ্কা বাটা বা থেঁতো করা
১/২ চা চামচ কালো জিরে
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ পোস্ত বাটা
২ টেবিল চামচ সর্ষে বাটা
২ টেবিল চামচ চিনেবাদাম বাটা
৩ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
স্বাদ মতো নুন
প্রণালী:
বাঁধাকপি বড় বড় টুকরোয় কেটে নিয়ে পাতা গুলো আলাদা করে নিন। পাত্রে জল গরম করে তাতে হলুদ গুঁড়ো আর সামান্য নুন দিয়ে ২-৩ মিনিট ভাপিয়ে নিন। ভাপানো হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। পরে ভাল করে পাতাগুলোকে হাতের মুঠোয় নিংড়ে যতটা সম্ভব জল বের করে দিয়ে একটি পাত্রে রাখুন।
এ বার ওই পাত্রে সর্ষেবাটা, পোস্তবাটা, বাদামবাটা, কাঁচা লঙ্কাবাটা, স্বাদ মতো নুন, চিনি, ১ টেবিল চামচ সর্ষের তেল এবং কড়াইশুঁটি দিয়ে ভাল ভাবে মাখিয়ে নিন।
কড়াইয়ে বাকি তেল দিয়ে তাতে কালো জিরে ফোড়ন এবং সামান্য কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ভাল করে নাড়াচাড়া করে ভেজে চাপা দিয়ে রান্না হতে দিন। ২-৩ মিনিট পরে চাপা খুলে আবার নাড়াচাড়া করে নিয়ে চাপা দিয়ে রান্না করুন। এ ভাবে কয়েক বার রান্না করার পর তেল ছেড়ে এলে তুলে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।