করিনা কপূর খান। ছবি : সংগৃহীত।
একটু একটু করে চেপে বসতে শুরু করেছে শীত। সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গেলে এখন আগুনের গা-ঘেঁষে দাঁড়াতে ভাল লাগে। বাতাসে কেক-কুকিজ়ের গন্ধ। ছুটির সন্ধ্যায় গরম গরম কফির কাপে চুমুক দিতেও শুরু করেছেন অনেকে। অভিনেত্রী করিনা কপূর খানও শীতের একটা সন্ধ্যা কাটালেন মোমবাতির আলোর ওম নিয়ে। সঙ্গে ছিল মিষ্টিমুখের ব্যবস্থাও। তবে করিনা শীতের দিনের সঙ্গতে কেক-কুকিজ় বেছে নেননি। তাঁর জন্য ছিল খাঁটি ভারতীয় মিষ্টি পাঞ্জিরি। এমন মিষ্টি যা কৃষ্ণের ভোগে দেওয়া হয় আবার যার উল্লেখ আছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও! আয়ুর্বেদে বলা আছে সদ্য মা হয়েছেন যিনি তাঁকে পঞ্জিরি দিলে, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। আবার স্তন্য দুগ্ধ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে পাঞ্জিরি।
করিনা যদিও সদ্য মা হননি। তবু শীতের সন্ধ্যাযাপনে তাঁর সঙ্গী হয়েছএ পাঞ্জিরি। ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে সেই মুহূর্তের ছবিও দিয়েছেন করিনা। তাতেই দেখা যাচ্ছে মোমবাতির আলো আর মিষ্টির কৌটোর ছবি। ক্যাপশনে করিনা লিখেছেন, ‘মাস্টারশেফ’ রণবীর ব্রার তাঁর জন্য ওই মিষ্টি পাঠিয়েছেন।
শেফ রণবীর সম্প্রতিই করিনার সঙ্গে অভিনয় করেছেন নেটফ্লিক্সের ‘দ্য বাকিংহাম মার্ডার’ ছবিতে। রান্নাঘরে ম্যাজিক দেখানো রণবীরের অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছে সেই ছবিতে। তবে শেষ পর্যন্ত শেফের শান্তি রান্নাঘরেই। তাই সহ অভিনেত্রীর জন্য নিজের হাতে মিষ্টি তৈরি করে পাঠিয়েছেন তিনি।
রণবীরের পাঠানো পাঞ্জিরি খাস উত্তর ভারতের মিষ্টি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই মিষ্টির উল্লেখ আছে এর দ্রব্যগুণের জন্য। সংস্কৃত শব্দ ‘পঞ্চজিরকা’ থেকে এসেছে পাঞ্জিরি নাম। যার অর্থ পাঁচরকম জিরা বা ভেষজ। সাধারণত জিরা, ধনে, আদা, মৌরি এবং জোয়ান দিয়ে ঘিয়ের সঙ্গে আটা এবং শুকনো ফল মিশিয়ে তৈরি করা হয় পাঞ্জিরি।যা উত্তর ভারতে জন্মাষ্টমীর সময় কৃষ্ণকে ভোগে দেওয়া হয় ওই মিষ্টি। আবার সত্যনারায়ণ পুজোতে, দশেরা, নবরাত্রির ব্রত পালনের জন্যও অনেকে তৈরি করেন ওই মিষ্টি। শেফ রণবীর সেই মিষ্টিই নিজে হাতে বানিয়ে পাঠিয়েছেন করিনার জন্য। উপহার পেয়ে করিনাও লিখেছেন, ‘‘রণবীরের পাঠানো মিষ্টি খেয়ে আমার ভিতরে লুকিয়ে থাকা পাঞ্জাবি সত্ত্বা নেচে উঠেছে’’।