মুচমুচে পকোড়া বানানোর সহজ উপায়। ছবি:ফ্রিপিক।
মুড়ি, গরম চা আর তার সঙ্গে পেঁয়াজি, বেগুনি কিংবা পকেড়া। এই তিন জিনিস একসঙ্গে পেলে আর কী চাই! দোকানের তেলেভাজা খেতে ভালই লাগে। তবে সমস্যা হয় স্বাস্থ্যের কথা ভাবলে। একই তেলে বার বার ভাজাভুজির ফলে তা হয়ে ওঠে অস্বাস্থ্যকর। সে কারণে বাড়িতেই পকোড়া, পেঁয়াজি, বেগুনি বানাতে চান অনেকেই। কিন্তু সমস্যা হয়, তেলেভাজা মুচমুচে না হলে। কী ভাবে পেঁয়াজি বা পকোড়া বানালে তা হবে দোকানের মতো?
১. আলু বা সব্জি দিয়ে পকোড়া বানান অথবা পেঁয়াজি, সব্জির চেয়ে অনেকটা বেশি বেসন ব্যবহার করলে মুচমুচে ভাব কমে যেতে পারে। পকোড়ার ক্ষেত্রে সব্জি এবং বেসনের অনুপাত ঠিক থাকা খুব জরুরি।
২. পকোড়া মুচমুচে করার আর একটি কৌশল হল বরফ শীতল জল দিয়ে বেসন গোলা। এটিও খুব কাজে আসে।
৩. বেসনের মিশ্রণটি কতটা ঘন বা পাতলা হবে তা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে জরুরি হল খুব ভাল করে জল দিয়ে গুলে মিশ্রণটি ফ্যাটানো। যত ভাল করে ফেটিয়ে নেওয়া হবে, ততই তা হালকা হবে। ভাজলে মুচমুচে হবে।
৪. বেসনের সঙ্গে কিছুটা চালের গুঁড়ো এবং সামান্য খাবার সোডা মিশিয়ে নিলেও পকোড়া ফোলে ভাল, মুচমুচে হয়।
৫. যে তেলে পকোড়া বা পেঁয়াজি ভাজা হবে, তার তাপমাত্রা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দেখা যায়, পকোড়া লাল হয়ে গিয়েছে কিন্তু খেতে গেলে বোঝা যায়, বেসন কাঁচা। উচ্চ তাপমাত্রায় পকোড়া ভাজলে এমনটা হতে পারে। আবার বেসনের মাত্রা বেশি হলে, সেটি ঘন হয়ে গেলেও ভিতরে কাঁচা ভাব রয়ে যায়। তেল গরম হলে সামান্য বেসনের গোলা ছাড়ুন। সেটি ভেসে উঠলে বুঝতে হবে, তেল ঠিক আছে। পকোড়া ভাজার সময় আঁচ কমিয়ে নিতে হবে। সময় নিলে ভাজলে ভিতরের কাঁচা ভাব আর থাকবে না। আঁচ কমানো থাকলে চট করে বাইরে থেকে তা লালচে হয়ে যাবে না, বা পুড়ে যাবে না।