Chandrakona Incident

চার বছরের শিশুকে সিঁদুর মাখিয়ে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ! চন্দ্রকোনায় গ্রেফতার তান্ত্রিক

চার বছরের মূক ও বধির এক শিশুকে সিঁদুর মাখিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। চন্দ্রকোনার এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৫ ২০:৪৬
শিশুকে সিঁদুর মাখিয়ে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগে চন্দ্রকোনায় গ্রেফতার তান্ত্রিক।

শিশুকে সিঁদুর মাখিয়ে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগে চন্দ্রকোনায় গ্রেফতার তান্ত্রিক। —প্রতীকী চিত্র।

চার বছরের মূক ও বধির এক শিশুকে সিঁদুর মাখিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার এই ঘটনায় শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উদ্ধার করা হয়েছে ওই শিশুটিকেও। ধৃত তান্ত্রিকের নাম রঞ্জিত রুইদাস।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোনার সারগা গ্রামের বাসিন্দা ওই শিশুকে তার মা বাড়িতে ঘুম পাড়িয়ে কিছু ক্ষণের জন্য বাইরে বেরিয়েছিলেন। ফিরে এসে বাচ্চাকে দেখতে না-পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। চার দিকে খোঁজাখুঁজির পর স্থানীয় এক বাসিন্দা দেখেন, পাশের বাড়ির একটি বন্ধ ঘরের জানলাতে বাচ্চাটি বসে রয়েছে। তার গোটা গায়ে সিঁদুর মাখানো রয়েছে। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন গিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে রঞ্জিতের উপর।

স্থানীয়দের দাবি, বছরখানেক আগে থেকে তন্ত্রবিদ্যা শিখছেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই ওই রঞ্জিতের কাজকর্মের উপর নজর রাখছিলেন প্রতিবেশীরা। শিশুটির পরিবারের লোকজনের অভিযোগ এবং প্রতিবেশীদের দাবির উপর ভিত্তি করেই রঞ্জিত-সহ তাঁর পরিবারের পাঁচ জনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই শিশুটির বাবা বলেন, “বাড়িতে ওই সময় কেউ না-থাকার সুবাদে আমাদের বাচ্চাকে তুলে নিয়ে যায় রঞ্জিত। সিঁদুর মাখিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। যে হেতু ও তন্ত্রসাধনা করে, তাই খারাপ কিছু করার পরিকল্পনা ছিল তার।”

এই ঘটনা প্রসঙ্গে মেদিনীপুর সদরের মহকুমাশাসক মধুমিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “এক শিশুকে সিঁদুর মাখা অবস্থায় একটি বন্ধ হওয়া ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

Advertisement
আরও পড়ুন