ওট্স থেকে কী ভাবে বাড়িতে সহজে দুধ বানাবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
ক্যালশিয়াম, পটাশিয়া, ভিটামিন-এ-সহ নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ দুধ সুষম খাবার হিসাবে বিবেচিত। হাড় মজবুত রাখতে, চোখ ভাল রাখতে, শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজের জোগান দিতে দুধ খাওয়া দরকার। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যাঁদের গরু, মোষের দুধ সহ্য হয় না। দুধে থাকে ল্যাকটোজ় নামে এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট। ল্যাকটোজ় হজমের জন্য ল্যাকটিজ় নামে একটি বিশেষ উৎসেচকের প্রয়োজন হয়। যাঁদের শরীরে এই ধরনের উৎসেচক কম থাকে, তাঁদের দুধ হজমে সমস্যা হয়। আবার অনেকে ভিগান বলে, প্রাণিজ খাবার এড়িয়ে চলেন। কারও আবার গরুর দুধ ভালই লাগে না। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণে তাই পুষ্টিবিদেরা অনেক সময় ওট্সের দুধ, কাঠবাদামের দুধ, সয়া মিল্ক খাওয়ার পরামর্শ দেন।
সকালের জলখাবারে ওট্স অনেকেই খান। ফাইবার যুক্ত এই উপাদানটি স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু এই ওট্স থেকে কী ভাবে বাড়িতেই দুধ তৈরি করবেন জানেন কি?
উপকরণ
১ কাপ ওট্স
৪ কাপ পানীয় জল
ম্যাপেল সিরাপ বা মধু মিষ্টির জন্য
ভ্যানিলা এসেন্স
পদ্ধতি: ওট্স অন্তত ৩০ মিনিট ধরে জলে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হয়ে যাওয়ার পর জল ফেলে দিন। এবার কিছুটা জল দিয়ে ওট্স মিক্সারে বেটে নিন। বাটা হয়ে গেলে তাতে আরও কিছুটা জল মেশান। তারপর একটি পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে ছেঁকে নিলেই পাওয়া যাবে দুধ। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য আধ চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, ১ চামচ মধু বা ম্যাপেল সিরাপ, প্রয়োজনে কাজু বা কাঠবাদামের কুচি মিশিয়ে নিন। দিতে পারেন খেজুরও।
তবে যদি ওট্সের দুধ সংরক্ষণ করতে চান, তাতে অন্য কিছু না মেশানোই ভাল। পরিষ্কার কাচের বোতলে ২-৩ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে দুধ রাখলে ভাল থাকবে।
ঘনত্ব: কেউ ঘন দুধ পছন্দ করেন, কারও আবার পাতলা দুধ খেতে সুবিধা। এ ক্ষেত্রে জলের পরিমাণ কমিয়ে বা বাড়িয়ে ঘনত্ব ঠিক করে নিতে পারেন। দুধে বাড়তি স্বাদ এবং গন্ধ জুড়তে চকোলেট, স্ট্রবেরি, এলাচ, কেশর মিশিয়ে নিতে পারেন।
উপকারিতা
গরুর দুধে ল্যাকটোজ থাকার জন্য অনেকেরই হজমে সমস্যা হয়। ওট্স দুধে সেই সমস্যা নেই। যে হেতু এই দুধের উৎস উদ্ভিদ, তাই ভিগানরাও এই দুধ খেতে পারেন। এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি, যা হাড় মজবুত রাখে। ওট্স ভিটামিন বি১২-এর অন্যতম উৎস। প্রোটিন বিপাক-সহ বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপের জন্য এই ভিটামনটি বেশ জরুরি। এতে রয়েছে বিটা-গ্লুকোন নামে ফাইবার, যা ত্বক ভাল রাখতে, প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।