ঠান্ডা হাওয়ায় ত্বকের স্পর্শকাতরতা আরও বেড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
স্পর্শকাতর ত্বকের হাজার একটা সমস্যা!
তার উপর উত্তুরে হাওয়া লাগলে গাল দুটো আপেলের মতো লাল হয়ে যায়। চামড়া অতিরিক্ত খসখসে হয়ে পড়ে। মুখে কোনও প্রসাধনী মাখতে গেলে দশ বার ভাবতে হয়। ঘরোয়া কোনও টোটকাতেও জ্বালাপোড়া হতে পারে।
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, স্পর্শকাতর ত্বকে বাইরে থেকে কিছু লাগলে তা চট করে প্রতিক্রিয়া করে। তার উপর দূষণ, আবহাওয়ার পরিবর্তনের মতো বিষয়ও স্পর্শকাতর ত্বকের পক্ষে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাইরে ঠান্ডা এবং ঘরের ভিতর গরম— ত্বকের স্পর্শকাতরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই এই সময়ে ত্বকের বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি।
শীতে স্পর্শকাতর ত্বকের যত্ন নেবেন কী ভাবে?
১) দিনের শুরুতে মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সালফেট-ফ্রি ফেসওয়াশ বা ক্লিনজ়ার ব্যবহার করতে পারলে ভাল হয়। তাতে হয়তো মুখভর্তি ফেনা হবে না। কিন্তু ঠিক যে কারণে মুখ ধোয়া প্রয়োজন, সেই কাজটি হবে।
২) এ বার প্রয়োজন টোনারের। প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার, ভিটামিন ই, অ্যালো ভেরা কিংবা গ্লিসারিন-যুক্ত টোনারও মুখে স্প্রে করা যেতে পারে।
৩) স্পর্শকাতর ত্বকের অস্বস্তি এড়ানোর জন্য শীতে সিরাম মাখা খুবই জরুরি। হায়ালুরনিক অ্যাসিড বা গ্লিসারিন-যুক্ত সিরাম স্পর্শকাতর ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখার পক্ষে উপযুক্ত।
৪) স্পর্শকাতর ত্বকে যে কোনও ধরনের ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ার মাখা যায় না। এ ক্ষেত্রে সুগন্ধ-বর্জিত সেরামাইড, পেপটাইড, ওটমিলের নির্যাস-যুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার বেছে নিতে পারেন। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এই ধরনের ময়েশ্চারাইজ়ার।
৫) দিনের বেলা অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখতে হবে। জ়িঙ্ক অক্সাইড বা টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইড-যুক্ত সানস্ক্রিন বেছে নেওয়াই ভাল। ‘সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর’ বা ‘এসপিএফ’-এর মান ৩০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে ভাল হয়।