ভেটকি মাছ রাঁধুন দই দিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
বলি বন্ধ হলেও দীপান্বিতা কালীপুজোর সঙ্গে পাঠার মাংসের যোগ রয়েছে। কিন্তু রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি। রক্তচাপ মাঝেমধ্যেই লাগামছাড়া হয়ে যায়। নিয়মিত ওষুধও খেতে হয়। তাই বলে কি ভাল-মন্দ খাওয়া বন্ধ থাকবে? যদিও মাংসের বিকল্প মাছ হতে পারে না। কিন্তু মাছ হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। খেলে অন্তত অপরাধবোধে ভুগতে হবে না। আবহাওয়ায় ঠান্ডার আমেজ পড়তে না পড়তেই বাজারে ভেটকি মাছ আসছে। ফুলকপি, আলু দিয়ে ভেটকি মাছের বিভিন্ন পদ তো খেয়েছেন। কিন্তু দই দিয়ে ভেটকির কোনও পদ খেয়েছেন কি? এই দীপাবলিতে বাড়িতে রেঁধে ফেলতেই পারেন দই ভেটকি। কী ভাবে রাঁধবেন? রইল রেসিপি।
উপকরণ:
ভেটকি মাছ: ৪ টুকরো
টক দই: আধকাপ
কাঁচালঙ্কা: ২-৩টি
পেঁয়াজ বাটা: ২ টেবিল চামচ
আদা-রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ
টোম্যাটো কুচি: আধ কাপ
তেজপাতা, গোটা গরম মশলা: ফোড়নের জন্য
হলুদ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো: আধ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: আধ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: আধ চা চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
সর্ষের তেল: ৪ টেবিল চামচ
চিনি: সামান্য
ধনে পাতা কুচি: আধ কাপ
প্রণালী:
১) প্রথমে মাছগুলি ধুয়ে জল ঝরিয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে রেখে দিন।
২) এ বার কড়াইতে তেল দিয়ে নুন, হলুদ মাখানো মাছগুলি ভেজে তুলে রাখুন।
৩) কড়াইতে তেল যদি বেঁচে থাকে, তার মধ্যেই ফোড়ন হিসাবে দিয়ে দিন তেজপাতা এবং গোটা গরম মশলা।
৪) কিছু ক্ষণ পর তেলের মধ্যে সামান্য চিনি দিন। চিনি গলে গেলে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন।
৫) একটু ভাজা হলে আদা-রসুন বাটা দিয়ে দিন। কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিন টোম্যাটো কুচি।
৬) এই সময়ে নুন, হলুদ, লঙ্কা, ধনে, জিরে গুঁড়ো দিয়ে ভল করে কষাতে থাকুন। তেল ছেড়ে এলে আঁচ কমিয়ে নিন।
৭) এ বার ছোট একটি পাত্রে দই, সামান্য নুন এবং চিনি দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন।
৮) ফেটানো দই কড়াইতে দিয়ে দিন। এ বার ভাল করে নাড়াচড়া করে সামান্য গরম জল দিন।
৯) ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিন। কিছু ক্ষণ ফুটতে দিন। নামানোর আগে চেরা কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিন। খানিক ক্ষণ চাপা দিয়ে রাখুন। তার পর গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।