কাঁচকলা দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন রকমারি সব খাবার। ছবি: সংগৃহীত।
সকালের জলখাবারে রুটি, পাউরুটি, দুধ-ওট্স কিংবা মুড়ি— যাই থাকুক না কেন, সঙ্গে পাকা কলা থাকেই। কিন্তু পেট বিগড়োলে তখন খোঁজ পড়ে কাঁচকলার। এই আনাজের মধ্যে থাকা ফাইবার, ভিটামিন এবং নানা রকম খনিজের গুণে অন্ত্র ভাল থাকে। এ ছাড়া শারীরবৃত্তীয় নানা কাজেই প্রয়োজন পড়ে এই খনিজগুলি। তবে শুক্তো, কোফতা কিংবা চিপ্স ছাড়া তো রান্নায় কাঁচকলা ব্যবহার করাই হয় না। রন্ধনশিল্পীরা বলছেন, এই সব্জিটি দিয়ে এমন অনেক পদ তৈরি করা যায়, যেগুলি খেলে পেট তো ভরবেই, আবার স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
কাঁচকলা দিয়ে কী কী তৈরি করা যায়?
কাঁচকলার টিকিয়া:
প্রথমে কাঁচকলা এবং আলু সেদ্ধ করে নিন। এ বার কাঁচালঙ্কা কুচি, গোটা জিরে এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভাল করে মেখে মণ্ড তৈরি করুন। সেখান থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নিন। হাতের তালুতে নিয়ে চ্যাপটা আকার দিন। অল্প তেলে ভেজে নিলেই টিকিয়া তৈরি। পুদিনা বা তেঁতুলের চাটনি থাকলে আর কিছু লাগবে না।
কাঁচকলার স্মুদি:
টক দই, কয়েক টুকরো কাঁচকলা, অল্প পরিমাণে দুধ আর সামান্য মধু। ব্যস, এই কয়েকটি উপকরণ ব্লেন্ডারে দিতে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিলেই স্মুদি তৈরি। চাইলে এর মধ্যে পালংশাকও দেওয়া যায়। সকালের জলখাবার হিসাবে এই পানীয়টি দারুণ।
কাঁচকলার স্যালাড:
কাঁচকলা সেদ্ধ করে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। সঙ্গে শসা, টম্যাটো, পেঁয়াজ কুচিও দিতে পারেন। উপর থেকে ফেটানো টক দই, জিরে গুঁড়ো বা চাট মশলা এবং বিটনুন ছড়িয়ে দিলে খেতে মন্দ লাগবে না। আবার পেটও ভরবে।
কাঁচকলার প্যানকেক:
কাঁচকলা সেদ্ধ, রাগি বা বাজরার আটা, সামান্য বেকিং পাউডার এবং জল ভাল করে মিশিয়ে নিন। কড়াইতে অল্প তেল ব্রাশ করে এই মিশ্রণ দিয়ে একে একে প্যানকেক ভেজে তুলুন। প্লেটে নিয়ে উপর থেকে মধু বা মেপ্ল সিরাপ ছড়িয়ে দিন। সকালের জলখাবার হিসাবে এই প্যানকেক খুবই উপাদেয়।
কাঁচকলার স্যুপ:
পেঁয়াজ এবং রসুন কুচির সঙ্গে কাঁচকলার টুকরোগুলোও অল্প তেলে ভেজে নিন। এক চিমটে হলুদ, জিরে, ধনে এবং পরিমাণ মতো নুন দিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে সমস্তটা ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। এ বার কড়াইতে অল্প মাখন দিয়ে কিছু ক্ষণ এই মিশ্রণ নাড়াচাড়া করে নিন। চাইলে মুরগির মাংসের ব্রথ দিতে পারেন। না হলে এমনি জলও চলবে। ফুটে উঠলে নামিয়ে ফেলুন। ব্যস, গরম গরম স্যুপ তৈরি। পরিবেশন করার আগে গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে নিতে ভুলবেন না।