নতুন শখে মজেছেন মাসাবা গুপ্তা। ছবি: ফেসবুক।
কখনও জামাভর্তি লিপস্টিকের ছবি, কখনও আবার গয়না পরা গরু, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কিংবা উদ্ভট সব মুখোশ খেলা করে বেড়ায় শাড়ির আনাচকানাচে। পোশাকশিল্পী মাসাবা গুপ্তার নকশা মানেই আলাদা কিছু। সেই মাসাবা ইদানীং হঠাৎ নকশা ছেড়ে রান্নাবান্নায় মন দিয়েছেন। আর সেখানেও তিনি বাঁধা গতে চলতে নারাজ। দিন কয়েক আগেই নানা রকম পুষ্টিকর উপকরণ এক করে প্রাতরাশ বানিয়েছিলেন। এ বার বানিয়েছেন সবুজ রঙের চাটনি। আর তাতেও রয়েছে মাসাবাচিত ‘টুইস্ট’।
ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে সেই চাটনির ছবি ভাগ করে নিয়েছেন মাসাবা। দেখতে সাধারণ সবুজ চাটনির মতোই। যেমনটা কাবাব বা বড়া বা অন্য যে কোনও ধরনের মুখরোচক খাবারের সঙ্গে ভারতীয়রা খেতে অভ্যস্ত। যা সাধারণত তৈরি হয়, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, দই, কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে। কিন্তু মাসাবার উপকরণ তা নয়। তিনি এখানেও গত ভেঙেছেন এবং চাটনি বানিয়েছেন পেয়ারা দিয়ে।
সাধারণত সবুজ চাটনির স্বাদে ঝালেরই প্রাধান্য থাকে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নানা রকম সবুজ রঙের চাটনি বানানোর চল আছে। বাংলায় যেমন ধনেপাতার চাটনি বানানো হয় কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, গুড়, তেঁতুল বা লেবু দিয়ে। আবার অবাঙালিরা অনেক সময় এতে রসুন দেন। মাসাবা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জানিয়েছেন, তিনি ওই চাটনি বানিয়েছেন পেয়ারা আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে। জিভ দিয়ে জল পড়ার ইমোজি দিয়ে মাসাবা বুঝিয়েছেন এই চাটনিও কম স্বাদু নয়।
পোশাকশিল্পী মাসাবা তাঁর ইনস্টাগ্রামে মাঝে মধ্যেই তাঁর দৈনন্দিন খাওয়াদাওয়ার ছবি দেন। তবে গত কয়েক দিন ধরে নিজের তৈরি করা খাবারের ছবি দিচ্ছেন। ভক্তদের মনে মাসাবার নতুন শখ নিয়ে যাতে কোনও প্রশ্নের অবকাশ না থাকে, তাই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মাসাবা সোজাসাপটা লিখে দিয়েছেন, ‘এটা এখন একটা ফুডপেজ’!