Maratha Reservation Bill

শিক্ষা এবং চাকরিতে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ মরাঠাদের! ভোটের অঙ্ক কষেই কি নয়া বিল মহারাষ্ট্রে?

মঙ্গলবার মরাঠা সংরক্ষণ বিল পাশ হল মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। এখন থেকে শিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে সে রাজ্যে মরাঠাদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১২
০১ ১৩
শিক্ষা এবং চাকরিতে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে মরাঠাদের জন্য। লোকসভা ভোটের আগেই নতুন বিল পাশ হল মহারাষ্ট্রে।

শিক্ষা এবং চাকরিতে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে মরাঠাদের জন্য। লোকসভা ভোটের আগেই নতুন বিল পাশ হল মহারাষ্ট্রে।

০২ ১৩
মঙ্গলবার মরাঠা সংরক্ষণ বিল পাশ হল মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। এখন থেকে শিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে রাজ্যে মরাঠাদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

মঙ্গলবার মরাঠা সংরক্ষণ বিল পাশ হল মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। এখন থেকে শিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে রাজ্যে মরাঠাদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

০৩ ১৩
আইন প্রণয়নের ১০ বছর পর আবার তা পর্যালোচনা করা হবে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। মনে করা হচ্ছে, মরাঠা ভোটব্যঙ্ক ধরে রাখতেই এই পদক্ষেপ একনাথ শিন্ডের সরকারের।

আইন প্রণয়নের ১০ বছর পর আবার তা পর্যালোচনা করা হবে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। মনে করা হচ্ছে, মরাঠা ভোটব্যঙ্ক ধরে রাখতেই এই পদক্ষেপ একনাথ শিন্ডের সরকারের।

Advertisement
০৪ ১৩
শুক্রবারই এই বিল নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেয় মহারাষ্ট্র রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন। আড়াই কোটি মানুষের উপর সমীক্ষা করে সেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।

শুক্রবারই এই বিল নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেয় মহারাষ্ট্র রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন। আড়াই কোটি মানুষের উপর সমীক্ষা করে সেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।

০৫ ১৩
মরাঠাদের মধ্যে যে সব পরিবার সামাজিক বা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছে অথবা শিক্ষার দিক থেকেও পিছিয়ে, তাদের কথাও শুনেছে কমিশন।

মরাঠাদের মধ্যে যে সব পরিবার সামাজিক বা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছে অথবা শিক্ষার দিক থেকেও পিছিয়ে, তাদের কথাও শুনেছে কমিশন।

Advertisement
০৬ ১৩
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ হলেন মরাঠা। তাঁর কথায়, ‘‘দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষের উপর সমীক্ষা করা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছি। তার পরেই মরাঠা সংরক্ষণ আইন চালু হবে।’’

মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ হলেন মরাঠা। তাঁর কথায়, ‘‘দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষের উপর সমীক্ষা করা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছি। তার পরেই মরাঠা সংরক্ষণ আইন চালু হবে।’’

০৭ ১৩
দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ, মহারাষ্ট্রেই মরাঠারা যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রাজ্যে মরাঠাদের ২১.২২ শতাংশ পরিবার দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করে।

দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ, মহারাষ্ট্রেই মরাঠারা যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রাজ্যে মরাঠাদের ২১.২২ শতাংশ পরিবার দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করে।

Advertisement
০৮ ১৩
তাঁদের হলুদ রেশন কার্ড রয়েছে। সেই পিছিয়ে পড়া মানুষজনের জন্যই এ বার সংরক্ষণ চালু শিন্ডে সরকারের, যা আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি-সেনা জোট সরকার।

তাঁদের হলুদ রেশন কার্ড রয়েছে। সেই পিছিয়ে পড়া মানুষজনের জন্যই এ বার সংরক্ষণ চালু শিন্ডে সরকারের, যা আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি-সেনা জোট সরকার।

০৯ ১৩
এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চাকরি ক্ষেত্রে মুসলিমদের জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষণ চেয়েছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)।

এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চাকরি ক্ষেত্রে মুসলিমদের জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষণ চেয়েছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)।

১০ ১৩
বিধানসভার বাইরেও এই দাবি জানিয়েছেন এসপি বিধায়ক আবু আজমি। তাঁর হাতে এই দাবি লেখা ব্যানার ছিল।

বিধানসভার বাইরেও এই দাবি জানিয়েছেন এসপি বিধায়ক আবু আজমি। তাঁর হাতে এই দাবি লেখা ব্যানার ছিল।

১১ ১৩
আর এক এসপি বিধায়ক রইস শেখ দাবি করেন, রাজ্যে মুসলিমদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত।

আর এক এসপি বিধায়ক রইস শেখ দাবি করেন, রাজ্যে মুসলিমদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত।

১২ ১৩
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জাতিগত সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পঞ্জাব সরকারের দায়ের করা একটি মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতি বেঞ্চে ‘জতিগত সংরক্ষণ’ বিষয়ে মামলা চলছিল।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জাতিগত সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পঞ্জাব সরকারের দায়ের করা একটি মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতি বেঞ্চে ‘জতিগত সংরক্ষণ’ বিষয়ে মামলা চলছিল।

১৩ ১৩
সেই সময় বিচারপতি বিআর গাভাই পঞ্জাব সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল গুরমিন্দর সিংহের কাছে জানতে চান, ‘‘তফসিলি জাতি/উপজাতি (এসসি/এসটি) সম্প্রদায়ের এক জন ব্যক্তি, আইএএস এবং আইপিএসের মতো কেন্দ্রীয় পরিষেবাগুলিতে যোগদানের পরে, সর্বোচ্চ সুবিধা পান। তবুও তাঁদের সন্তান বা তাঁদের সন্তানেরা সংরক্ষণের সুবিধা পেতে থাকেন। এটা কি চলতেই থাকবে?’’

সেই সময় বিচারপতি বিআর গাভাই পঞ্জাব সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল গুরমিন্দর সিংহের কাছে জানতে চান, ‘‘তফসিলি জাতি/উপজাতি (এসসি/এসটি) সম্প্রদায়ের এক জন ব্যক্তি, আইএএস এবং আইপিএসের মতো কেন্দ্রীয় পরিষেবাগুলিতে যোগদানের পরে, সর্বোচ্চ সুবিধা পান। তবুও তাঁদের সন্তান বা তাঁদের সন্তানেরা সংরক্ষণের সুবিধা পেতে থাকেন। এটা কি চলতেই থাকবে?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও গ্যালারি