
দেখতে অভিনেতা রাজেশ খন্নার মতো। তার উপর আবার বলিউডের ‘খিলাড়ি’র পুত্র। কিন্তু বড় পর্দায় এখনও দেখা যায়নি এই তারকা-সন্তানকে। অভিনয় নিয়ে নাকি কেরিয়ার গড়তে চান না অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কল খন্নার পুত্র আরভ কুমার ভাটিয়া।

২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে জন্ম আরভের। বাবা-মা এবং বোনের সঙ্গে মুম্বইয়েই শৈশব কাটান তিনি। মুম্বইয়ের স্কুল থেকেই পড়াশোনা করেছেন আরভ।

মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে চলে যান আরভ। বলিপাড়া সূত্রে খবর, উচ্চশিক্ষার জন্য মুম্বই থেকে সিঙ্গাপুরে চলে যান তিনি। সিঙ্গাপুরের একটি কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি।

শরীরচর্চার প্রতি ছোটবেলা থেকেই আগ্রহ রয়েছে আরভের। মাত্র চার বছর বয়স থেকে মার্শাল আর্টসের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন তারকা-পুত্র।

ওকিনাওয়া, কুডো এবং গোজু রায়ু ক্যারাটের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ পেয়েছেন আরভ। জাতীয় স্তরের জুডো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।

সিঙ্গাপুর থেকে কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পর ফ্যাশন নিয়ে পড়বেন বলে লন্ডনে চলে যান আরভ। বলিউডের জনশ্রুতি, অভিনয় নিয়ে এগোতে চান না অক্ষয়-টুইঙ্কলের পুত্র। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার গড়তে চান বলে বাবা-মাকে জানিয়েছেন আরভ।

এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় বলেছিলেন, ‘‘আমার ছেলে হঠাৎ এক দিন আমায় এসে বলল যে, ও অভিনয় করবে না। ফ্যাশনের প্রতি আগ্রহ রয়েছে ওর। আমিও ওকে বাধা দিইনি। জীবনে কী করবে তার সিদ্ধান্ত ও-ই নেবে।’’

আরভ যে ১৫ বছর বয়সে বাবা-মাকে ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তা নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছিলেন অক্ষয়। অভিনেতা বলেছিলেন, ‘‘মাত্র ১৫ বছর বয়সে যে ও বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে তা মানতে কষ্ট হয়েছিল আমার। তার পর মনে পড়ল আমিও তো ১৪ বছর বয়সে স্বপ্নপূরণের জন্য বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম।’’

বাবা-মা দু’জনেই বলি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। দাদু রাজেশ খন্না এবং দিদা ডিম্পল কাপাডিয়াও ছিলেন বলিপাড়ার জনপ্রিয় তারকা। তারকামণ্ডিত পরিবারে জন্ম হলেও আরভের জীবনে তার ছাপ পড়েনি।

আরভের স্বভাব খুবই সাদাসিধা। অক্ষয় এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, আরভ নিজের কাজ নিজে করতেই ভালবাসেন। নিজে রান্না করেন, নিজের জামাকাপড় নিজেই কাচেন।

ফ্যাশন নিয়ে পড়াশোনা করলেও দামি পোশাকের প্রতি বিশেষ আগ্রহ নেই আরভের। অক্ষয় জানিয়েছিলেন, আরভ নাকি পুরনো জিনিসপত্র ফেলে দিতে পছন্দ করেন না। তাই পুরনো জিনিসপত্র বিক্রির দোকানে গিয়ে পুরনো জামাকাপড় কেনেন তিনি। সেই পুরনো পোশাক কিনে পরতেও নাকি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন আরভ।

বলি অভিনেতা সইফ আলি খানের পুত্র ইব্রাহিম আলি খানের সঙ্গে ভাল বন্ধুত্ব রয়েছে আরভের। সম্প্রতি বলি নায়িকা হুমা কুরেশির বাড়িতে ইদের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন আরভ। তার পর থেকেই তারকা-পুত্রকে নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়।

আরভের সঙ্গে অনেকে রাজেশ খন্নার মিল খুঁজে পান। তাঁদের দাবি, আরভের যত বয়স বাড়ছে, ততই নাকি তিনি দাদুর মতো দেখতে হয়ে যাচ্ছেন।

হুমার বাড়িতে এক রহস্যময়ী নারীকে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন আরভ। ইদের উপহার নিয়ে একই গাড়ি থেকে নেমেছিলেন দু’জনে। তরুণী এগিয়ে গেলে তাঁকে অনুসরণ করে পার্টিতে পা রেখেছিলেন আরভ।

আরভের সঙ্গিনী অক্ষয়-টুইঙ্কলের হবু পুত্রবধূ কি না তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে। তবে বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ওই তরুণী সম্ভবত আরভের তুতো বোন সিমর ভাটিয়া। অক্ষয়ের বোন অলকা ভাটিয়ার কন্যা।
সকল ছবি সংগৃহীত।