তিরিশ বছর পরও সিনেমাটি ফিরে দেখেন বহু মানুষ। টিভি কিংবা ওটিটি— সর্বত্রই এই ছবির চাহিদা এখনও টের পাওয়া যায়।
ছবি তো শুধু নয়, ছবির গানও তো সুপার হিট! মনে পড়ছে, 'পহেলা নেশা...’ গানটির কথা?
এই ছবি অভিনেতা হিসাবে আমির খানকে ভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল।
কিন্তু জানেন কি, এই ছবিতে আমিরের পাশে সুযোগ পেতেই পারতেন মিলিন্দ সোমন কিংবা অক্ষয় কুমার?
১৯৯২ সালে প্রথম মুক্তি পায় ‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’। এর আগে পরিচালক মনসুর খানের ছবি ‘ক্যয়ামত সে ক্যয়ামত তক’ ছিল বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট ছবি।
তবে ‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’ ছবিতে শেখর মলহোত্রার চরিত্রে পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন মিলিন্দ সোমন। দীপক তিজোরী নন।
মিলিন্দকে নিয়ে ছবিটির ৭৫ শতাংশ শ্যুটিংও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার পরই প্রযোজকরা কোনও অজ্ঞাত কারণে ফিল্মের শ্যুটিং বন্ধ রাখেন।
এর পর যখন আবার শ্যুটিং শুরু হয়, তখন মিলিন্দকে আর ডাকা হয়নি।
পরে এক সাক্ষাৎকারে মিলিন্দ অবশ্য বলেছিলেন, ‘‘আমি এটা নিয়ে আক্ষেপ করি না। কারণ, তখন এই ছবিটি হলে আমার পক্ষে হয়তো ভাল হত না। অত তাড়াহুড়ো করে ফিল্মে অভিনয় হয়তো আমার কেরিয়ারের পক্ষে খারাপই হত।’’
দীপক তিজোরী যে চরিত্রটিতে অভিনয় করেন, তার জন্য অডিশন দেন অক্ষয় কুমারও।
কিন্তু তাঁকে বাছা হয়নি। অক্ষয় পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমিও স্ক্রিন টেস্ট দিই। কিন্তু আমাকে ওঁরা পছন্দ করেননি। তাই ওঁরা আমাকে বাতিল করেন।’’ এর পর এই চরিত্রটি যায় মিলিন্দের কাছে।
অক্ষয় তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। নায়ক হিসাবে অভিষেক ১৯৯১ সালে ‘সৌগন্ধ’ ছবিতে।
ছবিতে আমিরের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন আয়েশা জুলকা। এ ছাড়াও ছিলেন দীপক তিজোরী, মামিক সিংহ, পূজা বেদী এবং কূলভূষণ খারবান্দা।
ছবিটি সাঙ্গীতিক ভাবেও ছিল হিট। সুরকার ছিলেন যতীন-ললিত।
নেপথ্য গায়ক হিসাবে ছিলেন উদিত নারায়ণ, অলকা ইয়াগনিক, সাধনা সরগম প্রমুখ।