কলকাতা
শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৫৮
বর্তমানে বলিউড জগতে বহু তারকার সমাহার। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, সলমন খান সকলে অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের আলাদা ভাবে পরিচয় তৈরি করেছেন। তবে, বলিউড জগতে কপূর পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। পৃথ্বীরাজ কপূর, ঋষি কপূর থেকে করিনা কপূর খান, রণবীর কপূর সকলেই একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। অভিনয় জগতে কপূর পরিবারের সকলে শীর্ষস্থানীয় হলেও তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিধি কতটুকু, তা জানেন কি?
ফিল্ম জগতে কপূর পরিবারের নাম খোদাই করেছিলেন পৃথ্বীরাজ কপূর। বলিপাড়ার অধিকাংশের মতে, তিনি হিন্দি ছবির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন।
পৃথ্বীরাজ লায়লপুরের (বর্তমানে ফয়জলাবাদ নামে পরিচিত) খালসা কলেজে পড়াশোনা করেছেন।
পরবর্তী কালে তিনি পেশোয়ারের এডওয়ার্ডস কলেজে ভর্তি হন এবং বিএ ডিগ্রি নিয়ে পাশ করেন।
অভিনেতার তিন ছেলে— রাজ কপূর, শম্মী কপূর এবং শশী কপূর বলিউডে বহুল প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
ভারতীয় সিনেমার ‘চার্লি চ্যাপলিন’ হিসাবে অধিক পরিচিত ছিলেন রাজ কপূর। পড়াশোনার সূত্রে, দেহরাদুন, মুম্বই এবং কলকাতার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন রাজ।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন ফেল করেছিলেন অভিনেতা।
জন্ম মুম্বইয়ে হলেও বাবার কাজের সূত্রে শৈশবের বেশির ভাগ সময় কলকাতায় কাটিয়েছিলেন শম্মী কপূর। পরবর্তী কালে আবার মুম্বইয়ে ফেরেন তিনি। ডন বস্কো হাই স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর সেখান থেকেই মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন অভিনেতা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, মাধ্যমিকের পর আর পড়াশোনা করেননি শম্মী।
পৃথ্বীরাজ কপূরের কনিষ্ঠ পুত্র শশী কপূর শিশু অভিনেতা হিসাবে বড় পর্দায় কাজ শুরু করেছিলেন। মুম্বইয়ে ডন বস্কো হাই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন শশী।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, স্কুলের গণ্ডি পার করতে পারেননি অভিনেতা। অভিনয় জগতে নাম করলেও মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি।
রাজ কপূরের পাঁচ ছেলেমেয়ের মধ্যে অভিনয় জগতে অধিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন রণধীর কপূর এবং ঋষি কপূর।
মুম্বইয়ের কাম্পিয়ন স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন রাজ-পুত্র ঋষি। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন ফেল করেছিলেন অভিনেতা।
পরবর্তী কালে আজমেরের মেয়ো কলেজে ভর্তি হলেও সেখানে এক বছরও পড়াশোনা করেননি তিনি।
মুম্বইয়ে জন্ম হলেও দেহরাদুনের কর্নেল ব্রাউন কেমব্রিজ স্কুলে ভর্তি হন রণধীর।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, স্কুলের পড়াশোনা শেষ করলেও উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য কোনও কলেজে ভর্তি হননি রণধীর।
নব্বইয়ের দশকে বড় পর্দা মাতিয়ে রেখেছিলেন রণধীর-কন্যা করিশ্মা।
মুম্বইয়ের ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন কনন স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন করিশ্মা কপূর। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য মুম্বইয়ের সোফিয়া কলেজে ভর্তি হন অভিনেত্রী।
কিন্তু অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার ফলে কলেজের পড়াশোনা মাঝপথেই থামিয়ে দেন করিশ্মা।
করিশ্মার বোন করিনার কাহিনিও প্রায় একই রকম। প্রথমে মুম্বইয়ের জামনাবাই নার্সি স্কুলে ভর্তি হন তিনি। তার পর দেহরাদুনের ওয়েলহাম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেন অভিনেত্রী।
স্কুলের গণ্ডি পার করার পর করিনা মুম্বইয়ের মিঠিবাই কলেজে ভর্তি হন। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, করিশ্মার মতো তিনিও মাঝপথে পড়া থামিয়ে কলেজ ছেড়ে দেন।
ঋষি-পুত্র রণবীর আবার ব্যতিক্রমী। মুম্বইয়ের বম্বে স্কটিশ স্কুলে ভর্তি হন তিনি। যদিও পড়াশোনার চেয়ে খেলাধুলার দিকেই অভিনেতার মন ছিল বেশি। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে তিনি মুম্বইয়ের এইচআর কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড ইকোনমিকসে ভর্তি হন।
তার পরেই উচ্চশিক্ষার জন্য নিউ ইয়র্কে চলে যান রণবীর। নিউ ইয়র্কের স্কুল অফ ভিজুয়াল আর্টসে ফিল্মমেকিং নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি।
তার পর মেথড অ্যাক্টিং নিয়ে আগ্রহী হওয়ায় তিনি নিউ ইয়র্কের লি স্ট্রাসবার্গ থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। সেখানে কোর্স শেষ করে মুম্বইয়ে ফেরেন রণবীর।
ঋষি-কন্যা ঋধিমা ফিল্ম জগৎ থেকে দূরে থাকলেও শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে তিনি। গয়না নকশার দিকেই মন দিয়েছেন ঋধিমা ।
স্কুলের গণ্ডি পার করে উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনে পাড়ি দেন ঋধিমা। আমেরিকান ইন্টারকন্টিনেন্টাল ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ব্যাচেলর অফ ডিজাইনিং অ্যান্ড মার্কেটিং ডিগ্রি অর্জন করে মুম্বইয়ে ফিরে আসেন।
