বলিউডের ‘পারফেকশনিস্ট’ নামে পরিচিত আমির খান। সাধারণত ছবির ক্ষেত্রে এমন চিত্রনাট্য বাছাই করেন যেখানে সিনেমার মূল চরিত্র এবং ছবির কেন্দ্রবিন্দু তিনিই হন। কিন্তু এখন অন্য সুরে গান গাইছেন আমির। কেন? বলিউডে যে অভিনেতার সঙ্গে বক্স অফিসে বার বার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্মুখীন হয়েছেন তাঁর সঙ্গে একই ছবিতে অভিনয় করবেন তিনি?
ছবি: সংগৃহীত।
২০২২ সালের অগস্ট মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় আমিরের ‘লাল সিংহ চড্ডা’। এই ছবিটি বক্স অফিসে নজর কাড়তে পারেনি।
ছবি: সংগৃহীত।
অন্য দিকে চলতি বছরের অগস্ট মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সানি দেওল অভিনীত ‘গদর ২’। ২২ বছর পর ‘গদর’ ছবির সিকুয়েল নিয়ে বড় পর্দায় হাজির হন সানি। তার পর অভিনেতার ‘ঢাই কিলো কা হাত’ বক্স অফিসে দুর্দান্ত ব্যবসা করে।
ছবি: সংগৃহীত।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, বলি পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর সঙ্গে একটি হিন্দি ছবিতে কাজ করতে চলেছেন আমির। সেই ছবিতে নাকি সানিকেও অভিনয় করতে দেখা যাবে।
ছবি: সংগৃহীত।
কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর সানির জন্মদিন উপলক্ষে নতুন ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে পারেন রাজকুমার। কিন্তু আমির হঠাৎ সানির সঙ্গে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলিপাড়ায়।
ছবি: সংগৃহীত।
বক্স অফিসে বার বার সানির সঙ্গে লড়াই হয়েছে আমিরের। একাধিক ক্ষেত্রে সানির ছবি মুক্তির সময়েই আমিরের ছবি মুক্তি পেয়েছে। দুই অভিনেতার ছবি ব্লকবাস্টার হিট হলেও বলিপাড়ার একাংশের দাবি, দু’টি ছবি আলাদা সময়ে মুক্তি পেলে আরও বেশি ব্যবসা করতে পারত।
ছবি: সংগৃহীত।
বক্স অফিসে সানি এবং আমিরের লড়াই শুরু হয় নব্বইয়ের দশকে। ১৯৯০ সালের ২২ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় আমির খান অভিনীত রোম্যান্টিক ড্রামা ঘরানার ছবি ‘দিল’।
ছবি: সংগৃহীত।
‘দিল’ ছবিটি মুক্তির দিনেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় আরও একটি হিন্দি ছবি ‘ঘায়েল’। অ্যাকশন ঘরানার এই ছবিতে অভিনয় করেন সানি।
ছবি: সংগৃহীত।
‘দিল’ এবং ‘ঘায়েল’ দু’টি ছবিই বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করে। সানি এবং আমিরের ছবি দু’টিই সফল হয়।
ছবি: সংগৃহীত।
নব্বইয়ের দশকে আরও এক বার বক্স অফিসে মুখোমুখি হন সানি এবং আমির। ১৯৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘রাজা হিন্দুস্তানি’। এই ছবিতে আমিরের বিপরীতে অভিনয় করেন করিশ্মা কপূর।
ছবি: সংগৃহীত।
‘রাজা হিন্দুস্তানি’ মুক্তি পাওয়ার সপ্তাহখানেক আগে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ঘাতক’। এই ছবিতে সানির সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন মীনাক্ষি শেষাদ্রি।
ছবি: সংগৃহীত।
এক সপ্তাহের তফাতে মুক্তি পেলেও বক্স অফিসে ‘রাজা হিন্দুস্তানি’র পাশাপাশি ‘ঘাতক’ ছবিটিও চুটিয়ে ব্যবসা করে।
ছবি: সংগৃহীত।
২০০১ সালের ১৫ জুন আশুতোষ গোয়ারিকরের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘লগান’। আমিরের এই ছবিটি বিশ্বদরবারেও বহুল প্রশংসা কুড়োয়।
ছবি: সংগৃহীত।
‘লগান’ মুক্তির দিনেই মুক্তি পায় সানির ছবি ‘গদর’। এই ছবিটি মুক্তির পর বক্স অফিস কাঁপিয়ে দেয়।
ছবি: সংগৃহীত।
‘গদর’-এর সাফল্য নিয়ে আমির এক পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমি জানতাম যে ‘গদর’ ছবিটি ভাল হবে। কিন্তু আমি কল্পনা করতে পারিনি যে ছবিটি এতটা সফল হবে। লোকজন রীতিমতো ট্রাকে চেপে ‘গদর’ দেখতে গিয়েছিলেন। ‘গদর’ আদতে সুনামি তৈরি করেছিল।’’
ছবি: সংগৃহীত।
বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, আমিরের কেরিয়ারে ছন্দপতন হয়েছে। ‘গদর ২’-এর সাফল্য লক্ষ করার পর তাই সানির সঙ্গে হাত মেলানোর পরিকল্পনা করেছেন আমির।
ছবি: সংগৃহীত।