কিছু দিন আগেই ‘ইন্ডিয়া’র হাত ছেড়ে এনডিএ জোটের হাত ধরেছেন নীতীশ কুমার। লোকসভা ভোটের আসন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে অন্যান্য বিজেপি-বিরোধী দলগুলির সমঝোতা হয়নি এখনও।
তবে তার আগেই চণ্ডীগর পুরনিগম বিজেপি মুক্ত করতে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল আপ এবং কংগ্রেস। আশা মতোই এসেছিল জয়। কিন্তু তার পরেও হল না শেষরক্ষা। ৩৬টি আসনের মধ্যে ২০টি আসন প্রথমে জিতেও শেষে হার মানতে হল বিজেপির কাছে।
বিজেপির বিরুদ্ধে প্রথম শক্তিপরীক্ষায় নেমেছিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। কিন্তু জোট বেঁধে প্রথম বার নির্বাচনী লড়াইতে নেমে হার মানতে হল ‘ইন্ডিয়া’কে।
যদিও নির্বাচনের ফল নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিজেপিকে রুখতে চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে যৌথ ভাবে লড়াইয়ে নেমেছিল কংগ্রেস এবং আপ।
পুরপ্রতিনিধিদের ভোটে প্রথমে এগিয়েও গিয়েছিল কংগ্রেস এবং আপের জোট। মোট ৩৬টি বৈধ ভোটের মধ্যে জোট পায় ২০টি।
অন্য দিকে, বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী মনোজ সোনকর পান ১৬টি ভোট। কিন্তু পরে জোটপ্রার্থী কুলদীপ সিংহের পাওয়া ৮টি ভোটকে বাতিল ঘোষণা করা হয়।
বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ভোট দেন প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি তথা চণ্ডীগড়ের বিজেপি সাংসদ কিরণ খের।
বিরোধী প্রার্থীর ৮টি ভোট বাতিল হওয়ায় তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১২তে। ১৬টি ভোট পেয়ে ৩৫ আসনের চণ্ডীগড় পুরনিগমে অনায়াসেই জয় ছিনিয়ে নেয় বিজেপি।
ভোট বাতিলের ঘোষণা হওয়ার পরেই পুরনিগমে হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আপ এবং কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধিরা।
লোকসভা ভোটে বিরোধী দলগুলির মধ্যে আসন বোঝাপড়া নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও বিজেপিকে রুখতে চণ্ডীগড়ে হাত মিলিয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস এবং আপ।
পাটিগণিতের বিচারে জয় নিয়ে আশাবাদী ছিল বিরোধী জোট। ‘ইন্ডিয়া’র তরফে দাবি করা হয়েছিল, ৮ বছর পরে তারা চণ্ডীগড় পুরনিগমকে বিজেপিমুক্ত করবে।
সেই লক্ষ্যে মেয়র পদটি আপের জন্য ছেড়ে দেবে বলে জানায় কংগ্রেস। অন্য দিকে, কেজরীওয়ালের দলও জানায় যে, তারা সিনিয়র ডেপুটি মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র পদটি কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে দেবে। এখনও অবশ্য এই দু’টি পদের ফলাফল প্রকাশ্যে আসেনি।
গত মেয়র নির্বাচনে ৩৫টি ভোটের মধ্যে ১৪টি পেয়ে জয়ী হয় বিজেপি। সেই সময় চণ্ডীগড় পুরনিগমে আপের ১৩ জন, কংগ্রেসের ৭ জন এবং শিরোমণি অকালি দলের এক জন পুরপ্রতিনিধি ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে পঞ্জাবে ক্ষমতায় রয়েছে আপ। সেখানে লোকসভা ভোটে আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট হবে কি না, তা নিয়ে এখনও রাজনৈতিক শিবিরে সংশয় রয়েছে।
পঞ্জাবের রাজধানী হলেও চণ্ডীগড় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। সেখানে বিজেপি বরাবরই যথেষ্ট শক্তিশালী।