anti smoking

World No Tobacco Day: ধূমপান ছাড়বেন কী ভাবে এবং কেন ?

আজ, ৩১ মে বিশ্ব জুড়ে পালন হচ্ছে ‘তামাক বিরোধী দিবস’। এ বছরের শপথ হল ‘কুইট টোব্যাকো টু বি আ উইনার’। তামাক ছেড়ে এগিয়ে চলার শপথ নেওয়ার সচেতনতা বাড়ানোই এর উদ্দেশ্য।

Advertisement
সুমা বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২১ ১৮:৩১
ধূমপানে বাড়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা।

ধূমপানে বাড়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা। ফাইল চিত্র

বছরে প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় শুধু তামাকের কারণেই! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) হিসেব তেমনই বলছে। এ দিকে, কোভিড অতিমারির আতঙ্কও তামাকের নেশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

আজ, ৩১ মে বিশ্ব জুড়ে পালন হচ্ছে ‘তামাক বিরোধী দিবস’। এ বছরের শপথ হল ‘কুইট টোব্যাকো টু বি আ উইনার’। তামাক ছেড়ে এগিয়ে চলার শপথ নেওয়ার সচেতনতা বাড়ানোই এর উদ্দেশ্য। তামাক ছাড়লে এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে কি? চিকিৎসকদের মতে তামাক আর ক্যানসার প্রায় সমার্থক। ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ হল ধূমপান, জানালেন চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা জয়ন্ত চক্রবর্তী। এ ছাড়া মুখ, গলা খাদ্যনালী, স্বরযন্ত্র, মূত্রথলি ও স্তন ক্যানসারের সঙ্গেও তামাকের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক আছে বলে সাবধান করলেন তিনি। এ দেশে মুখের ক্যানসারের অন্যতম কারণ হল গুটখা ও খৈনির নেশা বলেও বক্তব্য চিকিৎসকের।

Advertisement

সিগারেট ও বিড়ির ধোঁয়ায় শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা এবং হৃদ্‌পিণ্ডের স্বাভাবিক কাজকর্ম ওলট-পালট হয়ে যায় বলে মনে করালেন এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক অগ্নিভ মাইতি। হু-র হিসেব অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশে ৩৫–৬৯ বছর বয়সের মানুষের মধ্যে ৩৫% হৃ্‌দরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হল ধূমপান। যাঁরা দিনে ১০–১৫টি বা তারও বেশি সিগারেট খান, তাঁদের হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি একজন অধূমপায়ীর থেকে ৭০% বেশি। ওই চিকিৎসকের বক্তব্য, ধূমপানে বাড়ে পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজের আশঙ্কাও। অর্থাৎ, পা-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশের রক্তবাহী ধমনীতে কোলেস্টেরলের প্রলেপ জমে রক্ত চলাচল কমে যায়। দেখা গিয়েছে, পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজে পায়ের ব্যথার রোগীদের অধিকাংশই ধূমপায়ী।

তবে অতিমারির আবহ অনেকের মনে ভয় ঢুকিয়েছে। তাই হু-এর সমীক্ষা বলছে, বহু মানুষ চেষ্টা করছেন ধূমপান ছাড়তে। আরও বেশি ধূমপায়ী যাতে তা ছাড়ার চেষ্টা করতে পারেন, তার জন্য কিছু উপায় জানালেন বিশেষজ্ঞেরা।

  • সিগারেট ধরানোর পরে পুরোটা না খেয়ে অর্ধেক বা এক চতুর্থাংশ টেনে ফেলে দিন
  • প্যাকেটে কয়েকটি নকল সিগারেট রাখলেও ভাল ফল পাওয়া যায়। ধরা যাক দশটির মধ্যে তিনটি রইল নকল
  • স্কুল, কলেজ, অফিস ও বাজারের কাছে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করা বাধ্যাতামূলক করা যেতে পারে
  • ১৮ বছরের নীচের কেউ সিগারেট কিনলে বিক্রেতাকেও শাস্তি দেওয়া হোক
Advertisement
আরও পড়ুন