দু’টি জরায়ুতেই বেড়ে উঠছে ভ্রূণ। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে দু’টি জরায়ু। দু’টিতেই ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে ভ্রূণ। সম্প্রতি এমনই এক আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী থাকল অ্যালাবামা হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের চিকিৎসকেরা। কেলসে হ্যাচার নামে বছর বত্রিশের এক হবু মাকে নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে হাসপাতালে।
প্রথম বার মা হচ্ছেন না ওই তরুণী। কেলসে এবং তাঁর স্বামী স্যালেব তিন সন্তানের বাবা-মা। চতুর্থ বার মা হতে চলেছেন কেলসে। শরীরে আরও একটি প্রাণ বেড়ে উঠছে তা জানার পরেই তাঁরা হাসপাতালে যান। সেখানে আল্টাসোনোগ্রাফি হতেই ধরা পড়ে যমজ সন্তানের জন্ম দেবেন তিনি। কেলসের দুটো জরায়ু আছে, তা প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময়ই জানা গিয়েছিল। তবে দু’টি জরায়ুতেই সন্তানধারণের বিষয়টিতে অবাক হয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, বিরলতম ঘটনার মধ্যে একটি।
সারা বিশ্বে মাত্র ০.৩ শতাংশ মহিলাদের দু’টি জরায়ু থাকে। দু’টি জরায়ুর নিজস্ব ডিম্বাশয় এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবও থাকে। কিন্তু দু’টি জরায়ুতে ভ্রূণের সঞ্চার হওয়া সত্যিই বিরল। কেলসের চিকিৎসক রিচার্ড ডেভিস জানান, এই জাতীয় গর্ভধারণের ক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এমনিতে সারা পৃথিবীতে খুব কম সংখ্যক মহিলার দু’টি জরায়ু থাকে। আর দু’টিতেই সন্তানধারণ করার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
চিকিৎসকদের দাবি, যমজ হলেও দু’টি ভ্রূণ একই সময়ে সঞ্চার হয়নি। কয়েক ঘণ্টা, কয়েক দিন এমনকি কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দু’টি ভ্রূণের সঞ্চার হয়েছে বলে ধারণা তাঁদের। কেলসে এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের বিশেষ তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। বাড়তি মনোযোগ পেয়ে খানিকটা অপ্রতিভ হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে তাঁকে নিয়ে কেন এত হইচই হচ্ছে, সেটা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছেন না তিনি। ডিসেম্বরেই ঘরে আসবে নতুন দুই অতিথি। সন্তানপ্রসবের আগের এই এক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তাই এক মাস আগে থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশেষ নজরে রয়েছেন হবু মা।