৩০০০ কিলোমিটার দূর থেকে খাবারের এই বরাতটি যখন আসে, প্রথমে সংস্থার তরফে সেই অর্ডার না নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল।
অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী অ্যাপের দৌলতে এক শহরে বসে অন্য জায়গার খাবার চেখে দেখা এই সময়ে অসম্ভব কোনও ব্যাপার নয়। তাই বলে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশ? সম্প্রতি মনসা গোপাল নামের একটি তরুণীর ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়ো অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। ওই তরুণী পেশায় অনলাইন খাদ্যসরবরাহকারী কর্মী। বিগত কয়েক মাস ধরে তিনি এই কাজটি করছেন। দূরের গ্রাহককে খাবার সরবরাহ করার অভিজ্ঞতা তাঁর আছে। কিন্তু সিঙ্গাপুর থেকে আন্টার্টিকায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ এই প্রথম। ৩০০০ কিলোমিটার দূর থেকে খাবারের এই বরাতটি যখন আসে, প্রথমে সংস্থার তরফে সেই অর্ডার না নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। প্রথমত এতটা রাস্তা, তার উপর কর্মীর সংখ্যাও কম। কিন্তু এই বরাতের বিষয়টি জানার পর মনসা কর্তৃপক্ষকে জানান, তিনি এই কাজটি করতে চান। অনেক আলোচনার পর মনসাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয় ওই সংস্থার তরফে।
সিঙ্গাপুর থেকে ৩০০০ কিলোমিটার পাড়ি দেওয়ার সেই সফর মনসা তাঁর ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি প্রথমে চেন্নাই থেকে সিঙ্গাপুর যান। সেখান থেকে খাবার সংগ্রহ করে থেকে বিমানে চেপে পৌঁছান জার্মানির হামবুর্গ শহরে। তার পর সেখান থেকে আর্জেন্টিনার বুয়েনসে যান। সেখান থেকে আন্টার্টিকায় যান। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, খাবার হাতে নিয়ে মনসা আন্টার্টিকার দুর্গম তুষারবৃত পথে হেঁটে চলেছেন। অবশেষে তিনি গ্রাহকের হাতে খাবার তুলে দিতে সক্ষম হয়েছেন। এই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই অনেক মানুষ এমন একটি কাজের জন্য কুর্নিশ জানিয়েছেন মনসাকে। তাঁর সাহসের প্রশংসা করেছেন। অনেকেই লিখেছেন, ‘‘এমন ঘটনা সত্যিই আশ্চর্যজনক।’’ এই পুরো ঘটনায় যে প্রশ্নটি প্রায় সকলের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল, কী এমন খাবার ছিল? তবে মনসার ভিডিয়োটিতে সে বিষয়ে কোনও উল্লেখ ছিল না।