বেশি বার স্নান করবেন না কেন? ছবি: সংগৃহীত।
কাজে বেরোনোর আগে স্নান করতেই হয়। কাজ থেকে ফিরে আরও এক বার স্নান না করলে কেমন যেন অস্বস্তি হয়। বাড়িতে থাকলে মাঝে আরও দু’-এক বার গায়ে জল ঢেলে নেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, দিনের মধ্যে একাধিক বার স্নান করা কিংবা শাওয়ারের তলায় ৩-৪ ঘণ্টা কাটানোর অভ্যাসে ত্বকের ক্ষতি হয়। তবে চর্মরোগ চিকিৎসক জয়েস পার্ক যদিও জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। বেশি ক্ষণ ধরে স্নান করলেই যে ত্বক কিংবা চুলের ক্ষতি হবে, এমন ধারণাও ঠিক নয়।
২০২১ সালে হাভার্ড হেল্থ-এর করা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, আমেরিকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় ৬৬ শতাংশই প্রতিদিন স্নান করেন। কেউ বা তারও বেশি। জয়েস বলছেন, “কে কত বার স্নান করবেন, তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির ত্বক এবং চুলের ধরনের উপর। কিংবা ঘামের পরিমাণ এবং ধুলোময়লা মাখার উপরেও।” তবে যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক কিংবা যাঁদের ত্বকে এগজ়িমার মতো সমস্যা রয়েছে, তাঁদের বেশি বার স্নান না করাই ভাল। কারণ, বেশি বার স্নান করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে যায়। ফলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে পড়ে। সে দেশেরই আরও এক ত্বক চিকিৎসক জুলি রুসাকের মতে, “আমি সাধারণত গরম জলে স্নান এবং অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করতে বারণ করি। কারণ, ধুলোময়লার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে থাকা মাইক্রোবায়োমও ধুয়ে যায়। শুধু ত্বক নয়, সামগ্রিক সুস্থতার জন্য এই মাইক্রোবায়োম অত্যন্ত জরুরি।”
সারা দিনে এক-দু’বার স্নান করা ভাল। তবে ত্বকের সমস্যা থাকলে কাজ থেকে ফিরে বা শরীরচর্চা করার পরে শুধুমাত্র সেই অংশগুলি ধুয়ে ফেলুন, যেখানে ঘাম হয়েছে। আমেরিকার এক প্রসাধনী সংস্থার ত্বক চিকিৎসক জাস্টিন হেক্সটলের মতে, “ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যাওয়ার পিছনে স্নান-প্রসাধনীর ভূমিকাও কম নয়। ত্বকের ধরন বুঝে মুখ বা চুলের জন্য প্রসাধনী কিনলেও দেহের বিষয়ে সকলে তত সচেতন নন।”