চিকিৎসকের কীর্তি। ছবি: সংগৃহীত।
আইভিএফ করাতে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন আমেরিকার এক মহিলা। তবে ভ্রূণ তৈরি করতে নিজের বীর্যই ব্যবহার করেছিলেন চিকিৎসক। আমেরিকার ইডাহোতে ঘটনাটি ঘটেছিল ৩৪ বছর আগে। এত বছর পর সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মহিলা। এখন বিপাকে চিকিৎসক।
শ্যারন হেইস নামে ওই মহিলার বয়স এখন ৬৭ বছর। ১৯৮৯ সালে মহিলা জানতে পেরেছিলেন স্বাভাবিক ভাবে সন্তানধারণ করতে পারবেন না। আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানধারণের জন্য তিনি চিকিৎসক ডেভিড আর ক্লেপুলের কাছে গিয়েছিলেন। ২৫ অক্টোবর ওয়াশিংটন সুপিরিয়র কোর্টে দায়ের করা মামলায় শ্যারন অভিযোগ করেন, তাঁর চিকিৎসার সময়ে তিনি ভাল মানের বীর্য যাচাই করার জন্য চিকিৎসককে অনেক টাকা দিয়েছিলেন। চিকিৎসক তাঁকে জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন কলেজ ছাত্রদের বীর্য সংগ্রহ করে তিনি ভাল মানের শুক্রাণুর খোঁজ করছেন। শেষমেশ একটি নমুনা বেশ পছন্দ হয় শ্যারনের। তবে সেই নমুনার বদলে চিকিৎসক নিজের নমুনা ব্যবহার করেই ভ্রূণ তৈরি করেন।
বছর খানেক আগে শ্যারনের মেয়ে ব্রিয়ানা জিন ও বংশ পরিচয় জানতে একটি ওয়েবসাইটে নিজের ডিএনএ-র নমুনা জমা করান। তখনই সত্যিটা তাঁর সামনে আসে। শুধু তা-ই নয়, ব্রিয়ানা জানতে পারেন যে, তাঁর এলাকাতেই আরও ১৬ জন ভাইবোন আছে মহিলার। বিষয়টি মোটেই ভাল চোখে দেখননি ব্রিয়ানা। এর জেরে তাঁর মায়ের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ব্রিয়ানার।
এই সবটা জানতে পেরেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন শ্যারন। তাঁর অভিযোগ, চিকিৎসক তাঁর মতোই বহু মহিলাকে ঠকিয়ে নিজের শুক্রাণুর জন্যই মহিলাদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন।