প্রতীকী চিত্র।
ধীরে ধীরে শহর জুড়ে হাল্কা শীতের আমেজ । সন্ধে গড়িয়ে রাতের দিকে গেলেই ঠান্ডা হাওয়া বেশ ভাল রকমই নিজের উপস্থিতি জানান দেয়। এমন সুন্দর আবহাওয়ায় একটি ছুটি-ছুটি ভাব অনুভব করেন সকলেই। আর এমন সময়ে রাতের বেলায় বারান্দায় বা ছাদে কিঞ্চিৎ মদ্যপানের ইচ্ছে হলে ক্ষতি কী? রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে মদ্যপান অনায়াসে হাল্কা করে দিতে পারে আপনার মনকে। সঙ্গে হয়তো মৃদু স্বরে মেহদি হাসানের কন্ঠে ‘রঞ্জিশ ই সহি’ থাকবে, বা খুব নিচু স্বরে বিঠোভেনের ‘মুনলাইট সোনাটা’।
কিন্তু মদ্যপানের সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে স্বাস্থ্যের চিন্তা। অনেক সময়েই একটু বেশি মাত্রায় মদ্যপান হয়ে গেলে শরীরের জন্য তা অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।কিন্তু সেই ভয়ে এই ইচ্ছেগুলি বঞ্চিত থেকে যাবে এমন রাতগুলিতে? তার চেয়ে বরং জেনে নিন, কোন কোন অ্যালকোহল স্বাস্থ্যের পক্ষে কম ক্ষতিকর।
রেড ওয়াইন
স্বাস্থ্যকর অ্যালকোহলের মধ্যে সব থেকে উপরে থাকবে রেড ওয়াইন। আঙুর থেকে বানানো হয় বলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মাত্রা রেড ওয়াইনে অনেকটাই বেশি থাকে। স্বাদের জন্য বা অন্য কারণে অন্যান্য পদার্থের ব্যবহার রেড ওয়ায়নে অনেক কম হয়। উল্টো দিকে, রেড ওয়াইনে থাকা পলিফেনলের ফলে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল হয়, সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের সুস্থতার জন্যেও অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে এই পানীয়।
শ্যামপেন
শ্যামপেনে ১০ থেকে ১২.৫ শতাংশ অ্যালকোহল থাকে। এ ছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা এখানেও একেবারেই কম নয়। অসুস্থতার আশঙ্কা তো কম থাকেই, পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা কমানোর ক্ষেত্রেও শ্যামপেন খুবই উপযোগী হতে পারে।
টেকিলা
ভদ্কা, টেকিলা, জিনের মতো পানীয়তে চিনি আর ক্যালোরির মাত্রা কম থাকে। সেই কারণে বিপাকের ক্ষেত্রেও শরীরের বিশেষ অসুবিধে হয় না। টেকিলার কোনও খারাপ প্রভাব বৈজ্ঞানিকদের মতে নেই।
বিয়ার
যদি আপনি অত্যধিক মদ্যপান না করেন, তাহলে বিয়ারের মতো বন্ধু আপনার খুব একটা কেউ নেই। বিয়ারের অ্যালকোহল মাত্রা ৫ থেকে ৭ শতাংশের বেশি নয়। তাই, অত্যধিক মাত্রায় বিয়ার না খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরির চিন্তা থাকে না।
হুইস্কি
হুইস্কির গ্লাস হাতে নিয়ে নিজেকে ক্যাপ্টেন হ্যাডক মনে না করলে, আপনার শরীর নিয়ে দুশ্চিন্তা করার বিশেষ কোনও কারণ নেই। বরং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা ভল থাকায়, কম পরিমাণে হুইস্কি খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য কোনও ভাবেই ক্ষতিকারক হতে পারে না।
রাম
বেশি পরিমাণে না খেলে রাম নিয়েও ভয় পাওয়ার খুব একটা কারণ নেই। অ্যালকোহলের মাত্রা একটু বেশি হলেও, নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে শরীরের ক্ষতি না হওয়াই স্বাভাবিক।
ব্র্যাণ্ডি
অ্যালকোহলের মাত্রা ৩৫ থেকে ৬০ শতাংশ হলেও, ব্র্যাণ্ডি অনেক ক্ষেত্রেই চিকিত্সার জন্যেও ব্যবহার করা হয়। খারাপ প্রভাবের থেকেও সুস্থতার জন্যে ব্র্যাণ্ডি খুবই কার্যকর হতে পারে। ঠান্ডা লাগলে, বা হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমানোর জন্যে ব্র্যাণ্ডি খুবই সাহায্য করে।