প্রতীকী ছবি।
মাঝে মাঝে বাইরের খাবার খাওয়া হয়েই যায়। খুব সর্তক থাকলেও এক-দু’দিন প্রিয় খাবার হয়তো একটু বেশি খাওয়া হয়ে যায়। তারপর হঠাৎই কোনও ইঙ্গিত ছাড়া শুরু হয়ে যায় প্রচণ্ড পেট ব্যথা। পেট খারাপ, গা বমি ভাব বা অ্যাসিডিটির নানা রকম ওষুধ বা সমাধান রয়েছে। পেটে ব্যথার সে অর্থে কোনও সমাধান নেই। পেটের ভিতর গোলমালগুলি বন্ধ হয়ে গেলেও পেট ব্যথা কমে যায়। অনেক সময়ে প্রচুর পরিমাণে জল খেলে পেটের সব বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায় শরীরে থেকে। তাতেও পেটে ব্যথা থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। কিন্তু এমন কিছু টোটকা যদি পাওয়া যায়, যাতে পেটের যন্ত্রণা থেকে খানিক মুক্তি পাওয়া যাবে, তা হলে আর ক্ষতি কী? জেনে নিন কী খাবেন এই সময়ে।
আদা
আদা চা খেতে পারেন বমি ভাব আর পেটে ব্যথা কমাতে। শরীরের সব রকম প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে আদা। রান্না করা, কাঁচা বা চায়ে দেওয়া, যেমন ভাবে ইচ্ছা খেতে পারেন আদা
ক্যামোমিল
বদহজম, বমি ভাব, ডায়েরিয়া, পেটে ব্যথা — একগুচ্ছ অসুখে দারুণ কাজে দেয় ক্যামোমিল। ক্যামোমিল ভেষজের গুণ নিয়ে খুব বেশি গবেষণা এখনও পর্যন্ত না হলেও এর নানা রকম উপকারিতার কথা অনেকেই মানেন। তাই পেটে ব্যথায় ক্যামোমিল চায়ের উপর ভরসা করতেই পারেন।
পিপারমেন্ট
আরেক ভেষজ চা পিপারমেন্টও দারুণ কাজে দেয় পেটে ব্যথার সময়ে। যাঁদের ইরিটেবিল বাওয়েল সিন্ড্রোম রয়েছে, তাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়া, বদহজম, পেট ব্যথার মতো নানা উপসর্গ লেগেই থাকে। সেগুলি কমাতে সাহায্য করে পিপারমেন্ট টি।
কাঁচকলা
এই টোটকা বাঙালিদের খুব চেনা। একটু পেট খারাপ হলেও কাঁচকলা দিয়ে সিঙি মাছের ঝোল খাওয়ার রীতি রয়েছে আমাদের। কাঁচকলা সিদ্ধ করে খেলেও তা পেটে ব্যথা এবং পেটের প্রদাহ কমতে সাহায্য করে। কাঁচকলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬, ফোলেট এবং পটাশিয়াম। শরীরে কোনও পেশিতে টান লাগলে, ব্যথা হলে বা ক্র্যাম্প হলে তা কমাতে সাহায্য করে এই মিনারেলগুলি।
দই
শরীরে ডিসবায়োসিস হলে মানে পেটের ব্যাকটিরিয়ার ভারসাম্যে গন্ডগোল হলেও পেট ব্যথা হতে পারে। তাই দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক খেলে তা এই ভারসাম্য বজায় রেখে পেটে ব্যথা কম করতে পারে। এই কারণেই পেটের সমস্যা হলে দই ভাত বা দই চিরের মতো খাবার খেতে বলেন মা-ঠাকুমারা।