Oral Hygiene

মাজনের টিউবে থাকা লাল, নীল, সবুজ কিংবা কালো সাংকেতিক রঙের সত্যিই কি কোনও অর্থ রয়েছে?

অনেকেই বলেন, টিউবের গায়ে আঁকা এই রঙের সঙ্গে যোগ রয়েছে মাজনের গুণমানের। মাজন তৈরির সময়ে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছিল তা সংক্ষেপে বোঝানোর জন্য এই রঙের ব্যবহার করা হয় বলে মনে করেন অনেকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪ ১৪:০৫
Toothpaste

ছবি: সংগৃহীত।

ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজেন না এমন মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে। প্রায় চোখ বন্ধ করেই ব্রাশে পছন্দের মাজন নিয়ে নেন। কিন্তু মাজনের টিউবের নীচের দিকে লাল, কালো, নীল কিংবা সবুজ রঙের যে আয়তকার চিহ্ন থাকে তা খেয়াল করে দেখেছেন কি? অনেকেই বলেন, টিউবের গায়ে আঁকা এই রঙের সঙ্গে যোগ রয়েছে মাজনের গুণমানের। মাজন তৈরির সময়ে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছিল তা সংক্ষেপে বোঝানোর জন্য এই রঙের ব্যবহার করা হয় বলে মনে করেন অনেকে। তবে এই ধারণা কি আদৌ সত্য?

Advertisement

টুথপেস্ট প্রস্তুতকারী সংস্থা কলগেট তাদের ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, টুথপেস্ট তৈরিতে প্রাকৃতিক বা রাসায়নিক উপাদান আলাদা আলাদা করে ব্যবহার করা হয় না। মনে রাখা দরকার সব প্রাকৃতিক উপাদানও আসলে রাসায়নিক। সব মিলিয়ে টিউবের গায়ে থাকা এই রং নিয়ে যে রটনা রয়েছে, তা আসলে ঠিক নয়। কোনও সংস্থা টুথপেস্টের উপকরণ বোঝাতে ওই রং ব্যবহার করে না। এটা মূলত রাখা হয় উৎপাদন সংক্রান্ত কারণে। টিউব তৈরির সময়ে টুথপেস্ট রাখার জায়গা কোথায় শেষ, তা চিহ্নিত করতেই বিভিন্ন রঙের ব্যবহার করা হয়। ওই রং দেখেই যন্ত্র বুঝতে পারে টিউবের কোন জায়গা সিল করতে হবে।

কিন্তু কোন উপকরণে তৈরি টুথপেস্ট ব্যবহার করা হচ্ছে তা অবশ্য গ্রাহকের জানার উপায় রয়েছে। সেটা ছাপা থাকে টিউবের গায়ে কিংবা টিউবের বাক্সে। তবে ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য অনুযায়ী, সব টুথপেস্ট তৈরির মূল উপকরণ মোটামুটি এক। তবে, এর সঙ্গে বিভিন্ন কিছু ব্যবহার করা হয় নানা রকম স্বাদ আনার জন্য। তবে, দাঁত বা মাড়ির সমস্যা অনুযায়ী আলাদা আলাদা মাজন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাজনের উপাদানে হেরফের থাকতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement