মূলত কোন কোন কারণে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত
সুখী জীবনের চাবিকাঠির নাম হরমোন। কী রকম বিজ্ঞাপনী লাইনের মতো শোনাচ্ছে না? কিন্তু বাস্তব এটাই। শরীরের সুস্থতা ও মনের সুখ নির্ভর করে আছে হরমোনের উপরই। তাই শরীর ভাল রাখতে শরীরে হরমোনের সমতা থাকা জরুরি। আচমকাই অনেকটা ওজন বৃদ্ধি কিংবা ওজন ঝরে যাওয়া কিন্তু হরমোনের তারতম্যের লক্ষণ হতে পারে। চুল পড়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা, অ্যাকনে ইত্যাদির কারণও হতে পারে শরীরে হরমোনের সমতার অভাব। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা উপেক্ষা করে ভুল করে থাকেন অনেকে। শরীরে হরমোনের সমতার এই পরিবর্তনের কারণগুলি কিন্তু লুকিয়ে থাকে আমাদের জীবনযাত্রার মধ্যেই।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ
অফিসের কাজ ও বাড়ির সব কিছু সামলাতে গিয়ে প্রচুর মানসিক চাপ নিয়ে ফেলছেন? কাজ নিশ্চয়ই থাকবে, তবে সেই সংক্রান্ত উদ্বেগ কমান। আর কোনও বিষয়ে নেতিবাচক চিন্তা করবেন না। অতিরিক্ত রাগ, চাপ, নেতিবাচক চিন্তা হরমোনের তারতম্যের কারণ।
খাবারদাবার
শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া জরুরি। তা না করে প্রচুর জাঙ্কফুড, প্রসেসড ফুড খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, এখনই তা কমান। এ ছাড়া অতিরিক্ত মিষ্টিজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়, যার ফলে চুল পড়া ও অ্যাকনের সমস্যা দেখা দেয়।
মদ্যপান ও ওষুধ
অতিরিক্ত মদ্যপান কিন্তু হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে শরীরে হরমোনের সমতা নষ্ট হতে পারে। কাজেই সীমা রেখে মদ্যপান করুন। এছাড়া চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে দেওয়া ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারেও হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা দেখা দেয়।
ঘুমের অভাব
শরীর ও মন ভাল রাখতে গেলে ঠিক মতো ঘুমেরও প্রয়োজন আছে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি দিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমের দরকার। ঠিক মতো না ঘুমোলে ক্লান্তি দেখা দেয়, যা থেকে নেতিবাচক চিন্তাও জন্মাতে পারে। ঘুম ভাল হলে কাজ করার ক্ষমতাও পাওয়া যায় আর মনে ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়।
শরীরচর্চার অভাব
হরমোনের সমতা রাখার জন্য শরীরকে সক্রিয় রাখাও দরকার। তাই নিয়মিত যোগাসন, কার্ডিয়ো বা যে কোনও ধরনের ব্যায়াম করা উচিত। এতে শরীরে হরমোনের নিঃসরণ স্বাভাবিক থাকে। কাজেই নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যেস না থাকলে হরমোনের তারতম্য ঘটতে পারে।