—প্রতীকী ছবি।
ডিসেম্বরে খুচরো বাজারে সামান্য কমেছিল জিনিসের দাম। এ বার তথ্য পেশ করে এমনটাই দাবি করল কেন্দ্র। সোমবার, ১৩ জানুয়ারি কনজ়ুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) প্রকাশ করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছে ডিসেম্বরে ৫.২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল সিপিআই, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। নভেম্বরে এর অঙ্কটি ছিল ৫.৪৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের নিরিখে খুচরো বাজারে কিছুটা কমেছে জিনিসের দাম।
সিপিআইয়ের মাধ্যমে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার পরিমাপ করা হয়। গত বছরের (পড়ুন ২০২৪) অক্টোবরে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌছেছিল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। ওই মাসে সিপিআই ছিল ৬.২১ শতাংশ। খুচরো মুদ্রাস্ফীতিকে দুই থেকে ছ’শতাংশের মধ্যে আটকে রাখাই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার লক্ষ্য।
ডিসেম্বরে সিপিআইয়ের সূচক নিম্নমুখী হওয়ার নেপথ্যে খাদ্য দ্রব্যের মূল হ্রাসকে চিহ্নিত করেছে সরকার। কেন্দ্রের দাবি, গত মাসে শাক-সবজি, ডাল, চিনি এবং দানা শস্যের দর উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। চিনির দাম কমায় সস্তা হয়েছে মিষ্টির দাম। ব্যক্তিগত শখ-আহ্লাদ পূরণের ক্ষেত্রে খরচের মাত্রা আমজনতা কমিয়েছে বলে রিপোর্টে স্পষ্ট করেছে কেন্দ্র।
এ দিন শহর এবং গ্রামের মুদ্রাস্ফীতির হার সংক্রান্ত তথ্যও প্রকাশ করেছে সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রামীণ এলাকায় মুদ্রাস্ফীতির হার রয়েছে ৫.৭৬ শতাংশ। শহরে এটি ৪.৫৮ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে।
খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি কনজ়ুমার ফুড প্রাইস ইনডেক্সের (সিএফপিআই) মাধ্যমে পরিমাণ করা হয়। বছর থেকে বছরের হিসাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৩৯ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার এখনও কিছুটা বেশি রয়েছে। সেখানে এর মাত্রা ৮.৬৫ শতাংশ। শহরাঞ্চলে খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি গত বছরের (পড়ুন ২০২৪) ডিসেম্বরে ৭.৯০ শতাংশ ছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।