—প্রতীকী চিত্র।
আর জি কর-কাণ্ডের জেরে প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন পেশার মানুষ। আন্দোলন থেকে সুরক্ষা ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মক্ষেত্র এবং গণপরিসরের দাবি উঠেছে। আর জি কর-কাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া এখন চলছে। তার পাশাপাশি, আদৌ থেমে নেই ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার (ট্রান্স ও কুয়্যার) মানুষেরাও। তাঁদের জন্য নেই আলাদা শৌচাগার, হাসপাতালের শয্যা। এমনকি, তাঁদের উপরে ঘটা অপরাধের বেশ কিছু ক্ষেত্রে আইনও অস্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে আর জি কর আন্দোলনের রেশ টেনেই তৈরি হয়েছে রাত দখল (নারী, ট্রান্স, ক্যুয়ার) ঐক্য মঞ্চ। গত ডিসেম্বরে সেই মঞ্চের এক সমাবেশে কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষিত বিশ্রামাগার, অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি ও লোকাল কমপ্লেন্টস কমিটি তৈরি, প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার মানুষদের জন্য শৌচাগার তৈরির মতো একগুচ্ছ দাবি তোলা হয়। তার পরেও বিভিন্ন পেশার মেয়েরা জানিয়েছেন, কী কী পদক্ষেপ করা হলে তাঁরা সুরক্ষিত বোধ করবেন।
সেই দাবিসনদ প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঐক্য মঞের তরফে আগামী ১৬ তারিখ, বৃহস্পতিবার এক পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে দুপুর দেড়টা নাগাদ শুরু হয়ে এই পদযাত্রা যাবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত। ঐক্য মঞ্চের তরফে শতাব্দী দাস জানান, পদযাত্রা শেষে মঞ্চের সদস্যদের কয়েক জন
প্রতিনিধি শান্তিপূর্ণ ভাবে দাবিসনদ তুলে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। ইতিমধ্যে এই মিছিলের উদ্দেশ্য এবং কারা আয়োজক, তা জানতে চেয়ে
জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেটির শুনানি আগামী ১৮ তারিখ। তবে ঐক্য মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করতে চান। আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত দিন ও সময়েই মিছিল করবেন তাঁরা।