ছবি-- সংগৃহীত
শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা শীতের মরসুমে বেশি দেখা যায় কারণ মানুষ বেশি সময় ঘরে কাটায়, যার ফলে জীবাণু একজন থেকে আরেক জনের কাছে সহজে ছড়িয়ে পড়ে। তা ছাড়া এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, ফলে শরীর এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়ে। শীতের সময় মানুষ কাশি, ফ্লু ইত্যাদি শ্বাসযন্ত্রজনিত সমস্যায় বেশি ভোগেন। এই ধরণের রোগের প্রাথমিক উপসর্গ কী কী—
১) সর্দি-কাশি
সাধারণ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে ঘন ঘন হাঁচি এবং কাশি হতে পারে। সঙ্গে নাক দিয়ে জল পড়া, গলায় চুলকানি, হাল্কা জ্বর, ঠান্ডা লাগা এবং গায়ে হাত পায়ে ব্যথার মত নানা উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়।
২) ফ্লু
জ্বর,শরীরে ব্যথা, হাঁচি-কাশি, গলা ব্যথা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা ফ্লু-এর লক্ষণ। এ ছাড়া ফ্লু হলে বমি বা ডায়রিয়াও হতে পারে।
৩) হুপিং কাশি
এটি খুব সংক্রামক ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ। যা প্রধানত শিশুদের প্রভাবিত করে। এটি সাধারণ সর্দি-কাশির মতো শুরু হয়। তারপর ধীরে ধীরে চোখ থেকে জল পড়া, গলা ব্যথা এবং তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার মত উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। বাড়তে থাকে কাশির দমক।
৪) নিউমোনিয়া
নিউমোনিয়া ফুসফুসকে সংক্রমিত করে। এ ছাড়াও নিউমোনিয়া হলে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, শ্লেষ্মা, কাশি, খিদে না পাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা— ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়।
৫) ব্রঙ্কাইটিস
ব্রঙ্কাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল শ্লেষ্মা যুক্ত ঘন ঘন কাশি, কাশির সঙ্গে হলুদ বা হাল্কা সবুজ রং এর কফ বার হওয়া, এনার্জি কমে যাওয়া, নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় বাঁশির মতন শব্দ। অনেকের পায়ের পাতা বা গোড়ালি ফুলে যাওয়ার মত উপসর্গও দেখতে পাওয়া যায়।