Mental Health Tips

Mental Health: অতিরিক্ত কাজের চাপ? কিছু সহজ উপায়ে কাটিয়ে উঠুন মানসিক ক্লান্তি

পাহাড়প্রমাণ কাজের সামনে দাঁড়িয়ে কী রকম যেন ঝুঁকে পড়ে কাঁধ। দানা বাঁধে ক্লান্তি, ক্লান্তি থেকে একের পর এক দুশ্চিন্তা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২১ ২০:৩২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

এখন যেই সময়ে পৃথিবী এসে দাঁড়িয়েছে, এই ক্রমাগত ব্যক্তিপ্রধান হয়ে চলা বিশ্বে অনেকেই একাকিত্বে ভোগেন। পুঁজির এই একচ্ছত্র আধিপত্যের যুগে সব কিছুই যেন দ্রুত থেকে আরও দ্রুততর দিকে এগিয়ে যেতে চায়। দিনের চব্বিশ ঘণ্টা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার এই প্রবল উন্মাদনা মানসিক ভাবে ক্লান্ত, বিপর্যস্ত করে তোলে মানুষকে। একেবারে শিশুবেলা থেকে এই দৌড়ের নেশা ধরিয়ে দেওয়া হয় সকলকে। যার ফলে গোটা বিশ্ব জুড়েই বেড়ে চলেছে অবসাদ, বাড়ি বাড়িত মানসিক ক্লান্তি ক্রমাগত আঘাত করে সকলকে।

অনেক সময়েই কাজের চাপে নিজের দিকে নজর দেওয়ার ফুরসতটুকুই বড় দুষ্কর হয়ে উঠতে পারে। পাহাড়প্রমাণ কাজের সামনে দাঁড়িয়ে কী রকম যেন ঝুঁকে পড়ে কাঁধ। দানা বাঁধে ক্লান্তি, ক্লান্তি থেকে একের পর এক দুশ্চিন্তা, সেই থেকে আরও ক্লান্তি। এই চক্রব্যূহ থেকে বেরিয়ে আসতে চান সকলে, কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই তা অনেক সময়ে সম্ভব হয় না। কিন্তু মানসিক সুস্থতার সঙ্গে তো কোনও রকম আপসও করা যায় না।

Advertisement
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

একাধিক কাজ করবেন না

একই সঙ্গে একাধিক কাজ হাতে নিয়ে নিলে তা দিনের শেষে আপনার মাথায় আরও বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আপনার যতটা ক্ষমতা, তার থেকে বেশি দায়িত্ব বা কাজ না নেওয়াই শ্রেয়।

সঙ্গীতের মধ্যে থাকুন

কাজ করার সময়ে বার বার কফি খেলে ধীরে ধীরে একটা আসক্তি হয়ে যায় কফির প্রতি। কিন্তু সঙ্গীতের সঙ্গে সেই আসক্তির সম্পর্ক হলেও বোধহয় খুব একটা ক্ষতি নেই। যখন বুঝছেন যে মানসিক ভাবে আপনি অতটা তাড়াহুড়ো করতে পারছেন না, খানিক ক্ষণ চোখ বুজে আপনার পছন্দের গানটি বা সুরটি চালিয়ে দিন। এর ফলে আপনার ক্লান্ত এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মন কিছুটা হলেও শান্ত হবে।

শ্বাসের কিছু সহজ ব্যায়াম করুন

বড় শ্বাস নিয়ে তার পর খানিক ক্ষণ ধরে রেখে আস্তে আস্তে ছাড়ুন। এই পুরো পদ্ধতিটা দশ বার করুন। এটে আমার হৃদ্‌যন্ত্রের উপর চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা দু’টোই অনেকটা কমবে।

ঘুমের সঙ্গে আপোস করবেন না

যতই কাজ থাকুক, সেই কাজের ছাপ যেন কোনও মতেই আপনার ঘুমের উপর এসে না পড়ে। কাজের চাপের কারণে ঘুম কম হলে তা আপনার শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

প্রয়োজন হলে রুটিন মেনে চলুন

যদি একান্তই সমস্যা হয় কাজের জন্যে, তা হলে রুটিন বানিয়ে সেটা মেনে চলতে পারেন। অনেক সময়েই কাজের বাড়তি চাপ আপনার দিনের অনেকটা সময়ের উপর চেপে বসে, তখন আপনার দিনের বাকি কাজের জন্য সময় কমে যায়। সেই থেকে শুরু হয় তাড়াহুড়ো, এবং যথারীতি শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি।

নিজেকে সময় দিন

শত কাজ থাকলেও, নিজের জন্য কিছুটা সময় বার করে নিন। আপনার যেটা করতে ভাল লাগে তাই করুন। গান শোনা, গান গাওয়া, কোথাও কিছু ক্ষণের জন্য হেঁটে আসা, বই পড়া— যে কোনও ধরনের কিছু একটা কাজ করুন যেটা একান্তই আপনার নিজের। এখানে কোনও কাজ সময়ে জমা দেওয়ার চিন্তা নেই, বা কোনও রকম তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই। এই সময়টা শুধুই আপনার। কোনও মতেই এই সময়টুকুর সঙ্গে আপস করবেন না।

Advertisement
আরও পড়ুন