প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
ঝটপট কয়েক কেজি ওজন কমানোর জন্য নানা রকম ডায়েটের প্রচোলন রয়েছে— ফ্যাট ফার্স্ট, মিলিটারি ডায়েট, ডিম-আপেলের ডায়েট— নেটমাধ্যমে পেয়ে যাবেন বহু ধরনের জনপ্রিয় ডায়েট। তবে এগুলো কোনওটাই দীর্ঘকালীন চালানো সম্ভব নয়। শুধু যে ডায়েট করা কঠিন তা নয়, এগুলোর কয়েকটা যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ এবং বেশি দিন করলে অপুষ্টিতে ভুগবেন। তবে কোনও ডায়েটে না মেনে দিব্যি ওজন কমানো সম্ভব। দিনে ১০০ ক্যালোরি কম করতে পারলেই প্রত্যেক বছর বাড়তি ১-২ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলা যায়। কী ভাবে জেনে নিন।
হেঁসেল বন্ধ করুন সময় বেঁধে
বহু আগে মা-ঠাকুমারা রাতের খাওয়া হয়ে গেলে রান্নাঘরের দরজার শিকল তুলে তালা লাগিয়ে দিতেন। সেই তালা খুলত আবার সকালবেলায়। আপনিও সেই পন্থা নিন। মাঝেরাতে টুকটাক খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। যতই রাত করে নেটফ্লিক্স দেখুন, সঙ্গে চিপ্স-পপকর্ন খাবেন না। রাতে আমাদের মেটাবলিজম হার অত্যন্ত কমে যায়। তাই ক্যালোরিগুলো ঝরতে সময় লাগে। সকালে উঠে ফের রান্নাঘরে যাবেন। এবং দিন শুরু করবেন স্বাস্থ্যকর জলখাবার দিয়ে।
ভাঁড়ার ঘর নিয়ন্ত্রণে রাখুন
না এ যুগে আলাদা করে ভাঁড়ার ঘর আর কতজনের বাড়িতে থাকে? তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে আমরা সকলেই বাড়িতে বেশি করে খাবার কিনে জমিয়ে রাখছি। মাসের বাজার করার সময় স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন। কুকি, কেক, চিপ্সের মতো খাবার যত আপনার সংগ্রহে কম থাকবে, তত আপনার শরীরে ক্যালোরি কম যাবে।
ফ্রিজের ভিতর ভাল করে দেখুন
আপনার ফ্রিজে কি প্রচুর পরিমাণে বাজার থেকে কেনা কোল্ড ড্রিঙ্ক, সোডা বা প্যাকেটের ফলের রস আছে? ওজন বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক। এগুলোর বদলে ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করুন, লেবু-মধুর শরবত খান, টাটকা ফলের রস বেছে নিন। শরীরে ক্যালোরি এমনিই কম যাবে।
পাত সাজান মেপে
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে ভাত-রুটির পরিমাণে সামান্য কম করে সব্জি, স্যালাড এবং প্রোটিন বাড়িয়ে দিন। খুব বেশি হেরফের করার দরকার নেই। দেড় কাপ ভাতের বদলে এক কাপ ভাত নিয়ে তরকারি একটু বেশি নিলেই হবে। সঙ্গে দই এবং স্যালাড অবশ্যই খাবেন। দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারে প্রোটিনের থাকলেও স্ন্যাক্সেও প্রোটিন রাখার চেষ্টা করুন। খিদে পেলে ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে দই কিংবা পিনাট বাটার দিয়ে আপেল বা সময় না থাকলে ডিমসেদ্ধ খেয়ে নিন। তাতে শরীরে প্রোটিন যাবে এবং ক্যালোরি কমতেও সাহায্য করবে।
কম ক্যালোরির বিকল্প বেছে নিন
স্যালাড খাচ্ছেন অথচ প্রচন্ড ভারী ক্রিম বা চিজি ড্রেসিং দিয়ে? তার বদলে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের ড্রেসিং বেছে নিন। মেয়োনিজ বা চিজ খেলে লো ফ্যাট দুধ দিয়ে তৈরি জিনিসগুলো বেছে নিন। চিজি ডিপের বদলে হামাস বা সালসা দিয়ে খান। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এই ছোট ছোট ফন্দিগুলো দারুণ কাজে লাগবে।
পা ফেলুন গুনে গুনে
প্রত্যেকদিন কতটা হাঁটেন, বা কতবার করে পা ফেলেন? পিডোমিটারের এখন আর প্রয়োজন নেই। বেশির ভাগ স্মার্টফোনেই কতটা হাঁটলেন, সেটা মেপে নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। দিনে ১০ হাজার পা ফেলা আদর্শ। স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, ওজন ঝরে যাবে নিমেষেই। তবেই অতটা সম্ভব না হলেও দিনে ৬ থেকে ৮ হাজার বার পা ফেলতে পারলে অনেকটাই উপকার পাবেন।