Viral Incident

৪ বছর ধরে দিনে ১০ বার করে মলত্যাগ! চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কী টের পেলেন তরুণী?

উপসর্গ দেখে ‘আইবিএস’ বা ইরিটেব্‌ল বাওয়েল সিন্ড্রোম বলেই ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু তা যে মলাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে গুণাক্ষরেও টের পাননি ওই তরুণী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:১৫
US women after battling severe diarrhea for years, gets diagnosed with stage 4 colon cancer.

পেটখারাপের মতো উপসর্গ এড়িয়ে যাবেন না! ছবি: সংগৃহীত।

চার বছর ধরে টানা ডায়েরিয়াতে ভুগছিলেন তরুণী। দিনে অন্তত পক্ষে ১০ বার মলত্যাগ করতে যেতে হত তাঁকে। কিন্তু শারীরিক তেমন কোনও সমস্যা ছিল না বলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। তবে এক দিন সকালে হঠাৎ মারাত্মক পেটব্যথা শুরু হয়। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন মলাশয়ের ক্যানসারের আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, ৪ বছর আগেই ওই তরুণীর শরীরে মারণরোগ থাবা বসিয়েছিল।

Advertisement

একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সি ওই তরুণী ২০১৯ সাল থেকেই ডায়েরিয়াতে ভুগছিলেন। তাঁকে দিনে বার দশেক মলত্যাগ করতে যেতে হত। তবে, এত বার মলত্যাগ করার পরেও মনে হত পেট পরিষ্কার হয়নি। এ ছাড়া আর কোনও সমস্যা ছিল না তাঁর। তবে, এক দিন মলত্যাগ করতে গিয়ে প্রচণ্ড পেটব্যথা শুরু হয়। এই ধরনের উপসর্গ দেখে ওই তরুণী ‘আইবিএস’ বা ইরিটেব্‌ল বাওয়েল সিন্ড্রোম বলেই ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু তা যে মলাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে গুণাক্ষরেও টের পাননি।

ওই তরুণী জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকেই তিনি পেটের এই সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও বিমা তাঁর ছিল না বলে চিকিৎসকের কাছে যেতে ভয় পেতেন। বদলে পেটখারাপ, আমাশা নিয়ন্ত্রণ করতে সাধারণ যে সব ওষুধ পাওয়া যায়, তা-ই খেতেন। তাতে বেশ কিছু দিন সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকত। কয়েক দিন পর আবার ফিরে আসত। ২০২৩ সালে এই সমস্যাই গুরুতর আকার নেয়। তখন চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। তবে, তাঁর উৎস মলাশয়ে। বিগত ৪ বছর ধরে কোলন থেকে তা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্যানসারের একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছেন তিনি। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু হলেও চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, ওই তরুণীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ২০ শতাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement