বিশ্বকাপের প্রাক্-মুহূর্তে ভারতীয় টিমের পাঁচ ‘এলিজিব্ল ব্যাচেলর’-এর তালিকায় কারা? ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে নামবে ভারত। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে গোটা দেশ। অনেকের মতে, বিশ্বকাপের প্রথম একাদশ বাছাই করা হয়েছে অনেক ভেবেচিন্তে। অবশ্য বিশ্বকাপের মরসুমে ভারতের অতীত পারফরম্যান্স সে কথাই বলছে। কাকে ছেড়ে কাকে দেখবেন, ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এ যেন এক চ্যালেঞ্জ। তবে শুধু তো বাইশ গজের পারফরম্যান্স নয়, ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চর্চা কম হয় না। কেউ ব্যাট হাতে মাঠে নামলে বিগলিত হয়ে পড়েন মহিলা অনুরাগীরা, আবার কারও প্রেমের গুঞ্জনে অশান্ত হয় মন। বিশ্বকাপের প্রাক্-মুহূর্তে তেমনই ভারতীয় টিমের পাঁচ ‘এলিজিব্ল ব্যাচেলর’-এর তালিকা তৈরি করা হল।
শুভমন গিল
বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে শুভমনের পারফরম্যান্স কেমন হবে, সে দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। বয়স কম, ছিপছিপে শান্ত চেহারা, তবে ব্যাট হাতে মাঠে নামলে যেন আগুনের গোলা। অনেকে তো আবার ধরেই নিয়েছেন শুভমনই নাকি পরবর্তী বিরাট কোহলি। এ হেন ক্রিকেটারের মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা যে অগুনতি হবে, তা বলাই বাহুল্য। সারা তেন্ডুলকরের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে চারদিক মুখরিত হলেও শুভমন আউট হলে গ্যালারিতে কিংবা টিভির সামনে বসা তরুণী হৃদয়ে যে মনখারাপের ঝড় ওঠে, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে ‘মোস্ট এলিজিব্ল ব্যাচেলার’-এর নিরিখে শুভমনকে প্রথমে রাখাই যায়।
শ্রেয়স আইয়ার
বিশ্বকাপের মরসুমে আলাদা করে নজর কেড়েছেন মুম্বইয়ের ভূমিপুত্র বছর আঠাশের এই ক্রিকেটার। পর পর ন’টি ম্যাচ জেতার নেপথ্যে শ্রেয়সের অবদান উল্লেখযোগ্য। বেশ কয়েকটি ম্যাচে শ্রেয়স সেঞ্চুরিও করেন। ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি, বাঁ কানে জ্বলজ্বল করছে হিরের স্টাড, পেটানো চেহারা— ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ‘চকোলেট বয়’ তিনি। এখনও বিয়ে করেননি। প্রেমের সম্পর্কে আছেন কি না, সে বিষয়ে কখনও মুখ খোলেননি। কিন্তু শ্রেয়স বল বাউন্ডারিতে পাঠালে কিংবা সেঞ্চুরি করলে গ্যালারিতে বসে থাকা ছিপছিপে তরুণীর চোখমুখে যে মুগ্ধতা ফুটে উঠতে দেখা যায়, তাতে কিছুটা আন্দাজ করে নেওয়া যায় বটে।
মহম্মদ শামি
ভারত বিশ্বকাপ জিতবে কি না, তা জানতে এখনও অপেক্ষা করতে হবে কয়েক ঘণ্টা। কিন্তু বিশ্বকাপের মরসুমে মহম্মদ শামি বাইশ গজে যা খেল দেখালেন, তাতে তাঁর সতীর্থরাও চমকে গিয়েছেন। এক দিনের ম্যাচে সাতটা উইকেট নেওয়া মুখের কথা নয়। শামি তা করে দেখিয়েছেন। ব্যক্তিজীবনে অবশ্য তিনি খানিক টালমাটাল। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। উইকেট নিলে গ্যালারি থেকে তাঁকে কেউ অভিবাদন জানান না। ম্যাচ শেষের পরে মাঠে দৌড়ে এসে কেউ জড়িয়েও ধরেন না ঠিকই। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব পান। ফেসবুকে তা নিয়ে চর্চাও হয়। শামি অবশ্য এ সবের থেকে নিজেকে অনেক দূরে সরিয়ে রাখেন। না হলে গ্যালারিতে ‘শামি শামি’ রব উঠলে আঙুলের ইশারায় চুপ করতে বলবেন কেন!
কুলদীপ যাদব
দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। জায়গা হত না আইপিলেও। সেখান থেকে ফিরে এসে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ। ঝাঁকড়া চুলের এই বাঁহাতি স্পিনার ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সাজঘর জমিয়ে রাখেন। তবে শুধু সাজঘর নয়, মাঠেও ঝড় তোলেন উত্তরপ্রদেশের এই স্পিনার। বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই উইকেট নিয়েছেন তিনি। প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারদের উইকেট তুলেছেন। আর কুলদীপ উইকেট নিলেই গ্যালারিতে তাঁর নামে উঠেছে জয়ধ্বনি। কুলদীপের আইবুড়ো নাম ঘোচেনি এখনও। প্রেমে আছেন কি না, সেটাও রহস্য।
ইশান কিশন
জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকেই বাজিমাত করেছিলেন ঈশান কিশন। বিশ্বকাপের প্রথম একাদশের টিমে তিনি নেই। কিন্তু তিনি আছেন। ভীষণ ভাবে আছেন। রান নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লে সতীর্থকে কখনও ছুটে গিয়ে জলের বোতল এগিয়ে দিচ্ছেন, আবার কারও পেশিতে টান পড়লে মালিশ করে দিচ্ছেন। ব্যক্তিগত জীবন খানিকটা আড়ালেই রাখেন ঈশান। তাই তিনি কাউকে মন দিয়েছেন কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।