মৃত্যর পরেও কী ফিরে আসা যায়? —প্রতীকী ছবি।
সন্তান হারানোর শোক ভোলার নয়। কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে সেই শোক যদি দ্বিতীয় বার পেতে হয়, বাবা-মায়ের মনের অবস্থা খানিকটা হলেও অনুমান করা যায়। নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা এক দম্পতি তাঁদের ৩ বছরের কন্যা ক্যামেলিয়া রোক্সানা মার্টিনেজের মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন!
মেয়ের শেষকৃত্য চলাকালীন হঠাৎই প্রাণ ফিরে আসে শিশুকন্যার দেহে। মৃত সন্তানকে নড়াচড়া করতে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান বাবা-মা। চোখের পলকে ফের এক বার নিভে যায় প্রদীপের শিখা। কিছু ক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি। চিরতরে কোল খালি হয়ে যাওয়ার শোকে আচ্ছন্ন মৃত শিশুটির বাবা-মা।
সূত্রের খবর, পেটে সংক্রমণ হওয়ায় শিশুকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন বাবা-মা। দু’দিন ভর্তি থাকার পরেও শিশুটির শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায়, হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে নিয়ে এসে অন্য এক জন শিশু চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।
দু-তিন দিন পরে ওই চিকিৎসকও হাল ছেড়ে দেন। এর পর অসুস্থ সন্তানকে অন্য এক জন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান দম্পতি। ওই চিকিৎসক আগের সমস্ত ওষুষ খেতে বারণ করেন। তাঁর বলে দেওয়া ওষুধ খাওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ক্যামেলিয়াকে বেশি জল এবং ফল খাওয়ানোর কথাও বলেন।
চিকিৎসকের কথা মেনে চলেন ক্যামেলিয়ার মা, কিন্তু ৩-৪ দিনের মাথায় মারা যায় শিশুটি। শেষ দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকেরা ক্যামেলিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সন্তানের দেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন অসহায় বাবা-মা।
শেষকৃত্যের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় ক্যামেলিয়াকে চোখের পাতা ফেলতে দেখেন তাঁর মা। কিন্তু উপস্থিত সকলেরই মনে হয়েছিল মেয়ের শোকে বিপর্যস্ত হওয়ায় বোধ হয় ভুল দেখেছেন তিনি। কিন্তু শিশুটির ঠাকুরমাও আঙুলের নড়াচড়া দেখতে পান। দেরি না করে কফিন থেকে ক্যামেলিয়ার দেহ নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন বাবা-মা। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি নেওয়া হয় ক্যামেলিয়াকে। কিন্তু চিকিৎসক আসার আগেই শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় শিশুটির।